স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার যেকোন মাধ্যমেই কাজ করতে গেলে এখন জি-মেইলকে প্রাধান্য দিতে হবেই। জনপ্রিয় হওয়ার কারণে জিমেইলের দিকে হ্যাকারদের নজরও বেড়েছে
গুগলের বিনামুল্যের সেবাগুলোর মধ্যে জিমেইল একটি। যা বর্তমানে দৈনন্দিন জীবনের প্রয়োজনীয়তার তালিকায় এক অপরিহার্য সেবা হয়ে দাঁড়িয়েছে। খুব সহজ ও দ্রুত তথ্য আদান প্রদানের জন্য এর জনপ্রিয়তা দিন দিন বেড়েই চলেছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটার যেকোন মাধ্যমেই কাজ করতে গেলে এখন জি-মেইলকে প্রাধান্য দিতে হবেই। জনপ্রিয় হওয়ার কারণে জিমেইলের দিকে হ্যাকারদের নজরও বেড়েছে। হ্যাকারদের হাতে চলে যাওয়া ছাড়াও নানা কারণে বেহাত হতে পারে আপনার জিমেইল একাউন্টের তথ্য। তবে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হলে জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখা যায়।
এক নজরে দেখে নেওয়া যাক হ্যাকার থেকে জিমেইল সুরক্ষিত রাখার উপায়-
১। টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন
ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে টু ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন ফিচার খুব প্রয়োজনীয়। এই ফিচারে এক্সট্রা লেয়ার ওটিপি সুবিধা থাকায় অ্যাকাউন্ট হ্যাকের সম্ভাবনা কম থাকে। এর ফলে নিজেদের জিমেইল অ্যাকাউন্টটি হ্যাকারদের হাত থেকে বাঁচিয়ে সুরক্ষিত রাখা সম্ভব। কোনো কারণে জিমইল অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলে এর মাধ্যমে সেটিকে আবার চালু করা সম্ভব।
২। আনসাবস্ক্রাইব
জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত রাখতে আরেকটি প্রয়োজনীয় ফিচার হল আনসাবস্ক্রাইব। অপ্রয়োজনীয় বা সন্দেহজনক কোনো মেইল বার বার আসলে আনসাবস্ক্রাইব করুন। বার বার ডিলেট করার বিড়ম্বনা থেকে মুক্তির পাশাপাশি সন্দেহজনক মেইল থেকে জিমেইল অ্যাকাউন্ট সুরক্ষিত থাকবে।
৩। ইউজ ফিল্টার
ইউজ ফিল্টার ফিচারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্টে বিভিন্ন ধরনের মেইল থেকে প্রয়োজনীয় বা বাছাইকৃত মেইল অন্য ফোল্ডারে সরিয়ে নেওয়া যায়। যা গুরুত্বপূর্ণ মেইল হারিয়ে যাওয়ার বিড়ম্বনা থেকে রক্ষা করে। এই ফিচার ব্যবহারের মাধ্যমে অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও গুরুত্বপূর্ণ মেইল গুলো সংরক্ষণ করে রাখা সম্ভব।
৪। আনডু সেন্ট মেসেজ
এই ফিচার চালু করলে ভুলবশত মেইল পাঠানোর সঙ্গে সঙ্গে তা বাতিল করা সম্ভব। তাৎক্ষনিকভাবে মেইল বাতিলের জন্য সেটিংসে গিয়ে গিয়ার আইকনে ক্লিক করলে আনডু সেন্ট মেসেজ অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। এক্ষেত্রে জিমেইল ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় দেয় না।
৫। রিকভারি ইনফরমেশন আপডেট
অনেকেই আছেন যারা কোনো অ্যাকাউন্টের রিকভারি তথ্য আপডেট করেন না অথবা রিকভারি অ্যাকাউন্টের ক্ষেত্রে এমন কোনো ইমেল অ্যাকাউন্ট বা এমন কোনো মোবাইল নম্বর ব্যবহার করেন যা অব্যবহৃত। এতে সমস্যার মুখে পড়তে হয় তাদের। কারণ, কোনো অ্যাকাউন্ট রিকভার করার জন্য প্রয়োজনীয় কোড নির্দিষ্ট রিকভারি মেইল আইডিতে বা ফোন নম্বরে পাঠানো হয়। এক্ষেত্রে রিকভারি তথ্য ভুল থাকলে বা বন্ধ থাকলে তা দিয়ে আর রিকভারি করা সম্ভব হয় না।
৬। জিমেইলের পাসওয়ার্ড অন্য সাইটে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন
জিমেইলের পাসওয়ার্ড অন্য সাইটে ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন। যদি ওয়েব সাইট ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ব্যবহৃত প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য পৃথক পৃথক পাসওয়ার্ড তৈরি করা দরকার।
৭। স্মার্ট কম্পোজ
স্মার্ট কম্পোজ এর ব্যবহারের ফলে মেইল লেখা আরও সহজ ও দ্রুত হবে। জিমেইল অ্যাকাউন্টের এই ফিচারের ফলে বড় বড় মেইল লেখার ক্ষেত্রেও সুবিধা হবে।
মতামত দিন