কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রাংশগুলো যখন কর্মক্ষমতার সীমায় পৌঁছে যায়, ঝামেলা দেখা দেয় তখনই
“রিস্টার্ট”! শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী এই যুগে শব্দটির সঙ্গে পরিচিত প্রায় সবাই। তবুও সংক্ষেপে বলে নেওয়া যাক- রিস্টার্ট মানে বন্ধ করে পুনরায় চালু করা। চালুর পর কম্পিউটার বা স্মার্টফোন কিংবা টেলিভিশন যে অবস্থায় থাকে, রিস্টার্ট করলেও তা-ই।
আমাদের প্রত্যেকের কাছে একটি স্মার্টফোন এবং ও কম্পিউটার রয়েছে। আর এসব ব্যবহার করতে গিয়ে যখনই কোনো সমস্যা দেখা দেয় তখন আমরা ডিভাইসগুলোকে রিস্টার্ট দেই। কেবল কম্পিউটার নয়, স্মার্টফোন, টিভি, ওয়াই-ফাই রাউটার ও অন্যান্য গ্যাজেটও এই রিস্টার্টের হাত থেকে রেহাই পায়নি। তবে কখনও ভেবে দেখেছেন, রিস্টার্ট করলে কি আসলেই সমস্যার সমাধান হয়? যদি হয়ে থাকে সেটারও কি কোনো কারণ আছে?
যদি আপনি আপনার কম্পিউটারের প্রসেসিং ক্ষমতা না থাকা সত্ত্বেও একসঙ্গে অনেক “ভারী” সফটওয়্যার ব্যবহার করেন এতে কম্পিউটারের গতি কমে যায়। পাশাপাশি এই প্রোগ্রামগুলো চলার সময় অনেক ফাইল তৈরি করে যা কারণে গতি কমিয়ে দেয়। বিশেষ করে গুগল ক্রোমের মতো ওয়েব ব্রাউজার ব্যবহারের সময় বিষয়টি ভালোভাবে বোঝা যায়। কোনো কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজের সময় হঠাৎ সবকিছু আটকে যায়।
এর দুটি কারণ থাকতে পারে। প্রথমত, দীর্ঘক্ষণ ব্যবহারের ফলে অনেক ফাইল কিংবা কোড জমা হয়েছিল র্যামে। দ্বিতীয়ত, কোনো ওয়েবসাইটে এমন কোড আছে, যা চালাতে গিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে কম্পিউটার। তাৎক্ষণিক ব্রাউজার বন্ধ করে চালু করলে অর্থাৎ রিস্টার্ট করলে পুনরায় গতি ফিরে পাবে আপনার কম্পিউটার। কারণ, এতে র্যাম ফ্রি হওয়ার সুযোগ পায়।
ধরুন আপনার কম্পিউটারে চার গিগাবাইট র্যাম। তবে যতগুলো প্রোগ্রাম একসঙ্গে খুলেছেন, তা চালাতে চার গিগাবাইটের বেশি ক্ষমতার প্রয়োজন। স্বাভাবিক কারণেই এতে কম্পিউটারের গতি কমে যাবে। কোনো কমান্ড দিলে আটকে যাবে। গরম হয়ে যেতে পারে। ফাইল ক্র্যাশ করতে পারে। চালু থাকা কোনো প্রোগ্রাম হঠাৎ বন্ধ হওয়ারও ঝুঁকি থাকে।
র্যামের মতো কম্পিউটারের প্রসেসরের বেলাতেও একই কথা প্রযোজ্য। অর্থাৎ কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার বা যন্ত্রাংশগুলো যখন কর্মক্ষমতার সীমায় পৌঁছে যায়, ঝামেলা শুরু হয় তখনই। এ সময় কম্পিউটার রিস্টার্ট করলে এই সমস্যাগুলোর সাময়িক সমাধান হয়।
কারণ তখন র্যামে অতিরিক্ত ফাইল থাকে না। প্রসেসরে কমান্ড এক্সিকিউট করার চাপ থাকে না। তাছাড়া হার্ডওয়্যার বা ড্রাইভার ফাইলে ত্রুটি দেখা দিলেও রিস্টার্টে অনেক সময় সমস্যার সমাধান মেলে। একই বিষয়টি ঘটে স্মার্টফোন, ডিজিটাল ক্যামেরা, রাউটারের ক্ষেত্রেও।
এই ডিভাইসগুলোতেও যখন এরকম কোনো সমস্যা দেখা দেবে তখনই আপনি সেটি রিস্টার্ট করুন।
মতামত দিন