প্রতিবেদনটি ডিজিটাল অবকাঠামো ও ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে অর্থনীতির ৭৯টি সূচকের অগ্রগতির ভিত্তিতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়
কোভিড-১৯ মহামারি সত্ত্বেও আইসিটি সেক্টরে বাংলাদেশ তার অগ্রগতি বজায় রেখেছে। হুয়াওয়ের গ্লোবাল কানেক্টিভিটি ইনডেক্স ২০২০ অনুযায়ী, গত বছরের তুলনায় দেশটি ব্রডব্যান্ড, ইন্টারনেট অব থিংস (আইওটি) এবং আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স (এআই) ক্ষেত্রে অগ্রগতি করেছে।
ফলস্বরূপ, এই বছর বাংলাদেশের পোর্টফোলিওতে আরও তিনটি পয়েন্ট যুক্ত হয়েছে।
প্রতিবেদনটি ডিজিটাল অবকাঠামো ও ক্ষমতা বিস্তারের ক্ষেত্রে অর্থনীতির ৭৯টি সূচকের অগ্রগতির ভিত্তিতে সম্প্রতি প্রকাশিত হয়।
বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) জারি করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দেশ ও শিল্পকে ডিজিটাল রূপান্তরের বিষয়ে কতৃত্বপূর্ণ, বাস্তব, পরিমাণবাচক মূল্যায়ন ও সুপারিশ প্রদান করাই লক্ষ্য।
সরবরাহ, চাহিদা, অভিজ্ঞতা এবং সম্ভাবনা - এই চার স্তম্ভের অধীনে মোট ৪০টি সূচকের ভিত্তিতে হুয়াওয়ে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। মূল্যায়িত হওয়া দেশগুলো তিনটি বিভাগে বিভক্ত - ফ্রন্টরানার্স, অ্যাডাপ্টারস এবং স্টার্টার্স। প্রকাশনায় বলা হয়, বাংলাদেশ প্রথম বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করে।
২০২০ এর প্রতিবেদনে দেখা গেছে যে ব্রডব্যান্ড কভারেজটিতে স্টার্টার্সরা উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, তাদের গড় মোবাইল ব্রডব্যান্ড অনুপ্রবেশ ২.৫ গুণ বেড়েছে, তাদের ৪জি সাবস্ক্রিপশন বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাদের মোবাইল ব্রডব্যান্ডটি ২৫% বেশি সাশ্রয়ী হয়েছে।
এই অর্জনগুলো স্টার্টার্স গ্রুপের অন্তর্ভুক্ত দেশগুলিকে আরও উন্নত ডিজিটাল পরিসেবা সরবরাহ করতে এবং অর্থনৈতিক উন্নয়নে নতুন সুযোগ গ্রহণ করতে সক্ষম করেছে। এছাড়াও, ২০১৪ সালের পর থেকে তাদের ই-কমার্স ব্যয় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে।
জিসিআই ২০১৯ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাংলাদেশ গত কয়েক বছরে ডিজিটাল অর্থনীতিতে একটি উল্লেখযোগ্য প্রবৃদ্ধি ও উন্নতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানীয়দের মধ্যে নিজেদের অবস্থান নিশ্চিত করেছে।
জিসিআই ২০২০ এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে গ্লোবাল কানেকটিভিটি সূচকে বাংলাদেশ আট পয়েন্ট এগিয়ে গেছে।
গত বছরের তুলনায় দেশটি ২০২০ সালে এই ৪০টি সূচকের মধ্যেএআই ও আইওটি সম্পর্কিত সম্ভাবনা বাড়ানোর পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট ব্যান্ডউইদথ এবং ফোর জি সংযোগে অগ্রগতি নিশ্চিত করেছে।
২০২০ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়, শিল্পের ডিজিটাল রূপান্তর দেশগুলোকে উত্পাদনশীলতা বাড়াতে, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারকে জাগ্রত করতে এবং ভবিষ্যতের প্রতিযোগিতামূলক বিকাশে সহায়তা করবে।
হুয়াওয়ের গবেষণায় প্রকাশিত হয়, যেই অর্থনীতি উত্পাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে পারে এবং ইন্টিলিজেন্ট কানেকটিভিটির সাথে ডিজিটাল হতে পারে সেটির শ্রমিক প্রতি বা ঘন্টা প্রতি কাজে জিভিএ - ও সাধারণত বৃদ্ধি পায়।
মতামত দিন