দ্রুতগতি সম্পন্ন, দীর্ঘমেয়াদী, অভিনব ফিচারে ভরপুর স্যামসাংয়ের “এ” সিরিজের ডিভাইসগুলো। স্যামসাং এ৫০এস ও এ৩০এস ডিভাইসগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়
কয়েক বছর আগেও দাম বেশি হওয়ার কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে ছিল না দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তিপণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং-এর মোবাইল ফোন। যে দামে অন্য ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন পাওয়া যেতো সেই দামে স্যামসাং ব্র্যান্ডের ফিচার ফোন পাওয়া যেতো।
কিন্তু বর্তমানে মাঝারি থেকে উচ্চমূল্যের পরিধি স্যামসাংয়ের রয়েছে দাপুটে অবস্থান। এই জয়যাত্রা ধরে রাখতে এবং দাপটের সঙ্গে বছর শেষ করতে এ বছরের অক্টোবরে স্যামসাং বাংলাদেশের বাজারে নিয়ে এসেছিল গ্যালাক্সি এএস সিরিজের নতুন দু'টি স্মার্টফোন।
দেখতে ভাল এবং দামও সাধ্যের মধ্যে হওয়ায় এরইমধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জনে সক্ষম হয়েছে স্যামসাংয়ের নেক্সট জেনারেশন ফোন- গ্যালাক্সি এ৩০এস ও এ৫০এস।
দ্রুতগতি সম্পন্ন, দীর্ঘমেয়াদী, অভিনব ফিচারে ভরপুর স্যামসাংয়ের “এ” সিরিজের ডিভাইসগুলো। স্যামসাং এ৫০এস ও এ৩০এস ডিভাইসগুলোও এর ব্যতিক্রম নয়।
গ্যালাক্সি এ৩০এস হ্যান্ডসেটটিতে ছবি তোলার জন্য রয়েছে ট্রিপল রিয়ার ক্যামেরা। যার ক্যামেরা সেটআপ হলো- ২৫ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা, ৮ মেগাপিক্সেলের ওয়াইড অ্যাঙ্গেল ক্যামেরা এবং ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ সেন্সর।
ছবি তোলার ক্ষেত্রে ব্যবহারকারীরা গ্যালাক্সি এ৩০এস ডিভাইসটির ৫ মেগাপিক্সেল ডেপথ ক্যামেরার লাইভ ফোকাস অপশন নির্বাচন করে উন্নতমানের বোকেহ ইফেক্ট ব্যবহার করতে করে দ্রুততার সঙ্গে অনবরত ছবি তুলতে পারেন।
নিখুঁতভাবে ছবি তোলার ক্ষেত্রে হ্যান্ডসেটটিতে ইনটেলিজেন্ট ফ্ল ডিটেক্টর এবং সিন অপটিমাইজার টুল দুটি খুবই কার্যকর। ফোনটিতে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার ইনফিনিটি-ভি অ্যামোলেড ডিসপ্লে থাকছে।
ডিভাইসটিতে এক্সিনোস ৭৯০৪ অক্টাকোর প্রসেসর, ৪ জিবি র্যাম, ৬৪ জিবি (পরবর্তীতে ১২৮ জিবি বাজারে ছাড়া হবে) ইন্টারনাল স্টোরেজ (৫১২ জিবি পর্যন্ত বাড়ানো যাবে) এবং অ্যান্ড্রয়েড পাই অপারেটিং সিস্টেম রয়েছে।
অন্যদিকে গ্যালাক্সি এ৫০এস হ্যান্ডসেটটির শক্তিশালী ৪৮ মেগাপিক্সেলের প্রধান ক্যামেরা ব্যবহারের মাধ্যমে সেলফি তোলা কিংবা লাইভ কনসার্টের ভিডিও রেকর্ডিং কিংবা দৃশ্যবস্তুর সূক্ষ্মভাবে ক্যামেরাবন্দি করা যায়।
হ্যান্ডসেটটির ১২৩ ডিগ্রি আল্ট্রাওয়াইড ক্যামেরা অ্যাঙ্গেল মানুষের চোখ যেভাবে কোনো বস্তুকে দেখতে পারে, তেমনিভাবে ছবি ধারণে সক্ষম। এছাড়া এর মাধ্যমে অনায়াসে খুব সহজেই ল্যান্ডস্কেপ ও ওয়াইড প্যানারোমা ছবি তোলা যায়।
গ্যালাক্সি এ৫০এস ডিভাইসটির সুপার স্টেডি ফিচারের মাধ্যমে চলার পথে সহজেই ঝকঝকে ছবি তোলার পাশাপাশি দ্রুতগতিতে চলমান মুহূর্তগুলোকে ত্রুটিহীনভাবে ভিডিও ধারণ করতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
ফোনটিতে ৬.৪ ইঞ্চি সুপার এমোলেড ইনফিনিটি-ইউ ডিসপ্লে রয়েছে। ডিভাইসটিতে অ্যান্ড্রয়েড পাই ওয়ানইউআই সমর্থিত এবং এতে ব্যাবহার করা হয়েছে এক্সিনোস ৯৬১১ অক্টাকোর প্রসেসর, ৬ জিবি র্যাম ও ১২৮ জিবি ইন্টারনাল স্টোরেজ (৫১২ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা যাবে)।
বাজারে থাকা স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের ডিভাইসগুলো ইতিমধ্যে নন্দিত হয়েছে। স্যামসাংয়ের নেক্সট জেনারেশন ফোন- গ্যালাক্সি এ৩০এস ও এ৫০এসও তাদের সাফল্যের ধারা বজায় রেখেছে।
বর্তমানে বাজারে স্যামসাং চলছে ধুমিয়ে। তরুণ প্রজন্মের পছন্দের তালিকায় স্যামসাং তার জায়গা করে নিয়েছে।
মতামত দিন