এসি মিলানের সঙ্গে ৮ বছরের বন্ধন ছিন্ন করে ডোনারুমার পিএসজিতে যোগদানের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারেননি অনেক মিলান সমর্থকই
ইতালিয়ান ফুটবল ক্লাব এসি মিলানের সঙ্গে ৮ বছরের বন্ধন ছিন্ন করার পর প্রথমবারের মতো ফিরেছিলেন সান সিরোতে। আশা করেছিলেন সেখানে ফিরে সমর্থকদের উষ্ণ অভ্যর্থনা পাবেন। কিন্তু জিয়ানলুইজি ডোনারুমার সেই আশায় গুড়েবালি।
বুধবার (৬ অক্টোবর) উয়েফা নেশন্স লিগের সেমিফাইনালে স্পেনের বিপক্ষে জাতীয় দল ইতালির হয়ে সান সিরোতে দর্শকদের সমর্থন তো পানইনি, উল্টো জুটেছে দুয়ো।
২০১৩ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ক্লাবের যুব দল এবং ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এসি মিলানের মূল দলের হয়ে খেলেছেন ডোনারুমা। ক্লাবের সমর্থকেরাও ভালোবাসায় আপন করে নিয়েছিল তাকে। কিন্তু এ মৌসুমে ইতালিয়ান জায়ান্টদের ডেরা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেওয়াটা হয়ত মন থেকে মেনে নিতে পারেনি তাদের অনেকেই।
যদিও গত মৌসুমে রোজানারিদের হয়ে ২২ বছর বয়সী গোলরক্ষকের পারফরম্যান্স ছিল যথেষ্ট উজ্জ্বল। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগে এসি মিলানের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য। আর জুলাইয়ে তো টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হিসেবে ইতালিকে ১৯৬৮ সালের পর ইউরোই জিতিয়েছেন।
কিন্তু সেসবের কিছুই এসি মিলানের অনেক সমর্থকের ক্ষোভ কমানোর জন্যে যথেষ্ট ছিল না।
ইতালীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে জানা যায়, মিলানের কিছু সমর্থক ইতালি দলের অবস্থান করা হোটেলের বাইরে “তোমাকে আর মিলানে স্বাগত জানানো হবে না ডোনরুমা” লেখা একটি ব্যানার উড়িয়েছে।
এছাড়া, ম্যাচের শুরুতে ইতালির একাদশ ঘোষণার সময়ে ডোনারুমার নাম উচ্চারণের সময়ে এবং স্পেনের বিপক্ষে ম্যাচে প্রতিবারই বল স্পর্শ করার সময় ডোনারুম্মাকে উদ্দেশ্য করে দুয়োধ্বনি দেওয়া হয়েছিল।
যদিও সোমবারে (৪ অক্টোবর) সংবাদ সম্মেলনে ডোনারুমা সান সিরোতে ভক্তদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “এমন কিছুই হবে না। আমি সর্বদাই একজন মিলান ভক্ত হিসেবে থাকব।” কিন্তু তার ধারণা যে এভাবে মিথ্যে হয়ে যাবে তা বোধহয় ডোনারুমাও ভাবেননি।
স্পেনের কাছে ১-২ গোলের পরাজয়ে ইতালির টানা ৩৭ ম্যাচ জয়ের ধারা থেমে গেছে। ডোনারুমার প্রতি দর্শকদের এমন আচরণ ইতালির হারের কারণ কি-না এমন প্রশ্নের জবাবে ইতালির কোচ রবার্তো মানচিনি বলেন, “আমি দুঃখিত যে ইতালির জাতীয় দলের খেলায় এমনটা হয়েছে। আমি মনে করি ইতালিকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে রাখা উচিত।”
মতামত দিন