আগস্টে পিএসজিতে পাড়ি জমানোর পর থেকেই প্যারিসের এই বিলাসবহুল হোটেলে অবস্থান করছিলেন লিওনেল মেসি
বার্সেলোনার সঙ্গে দীর্ঘদিনের বন্ধন ছিন্ন করে গত আগস্টে পিএসজিতে পাড়ি জমানোর পর থেকেই প্যারিসের বিলাসবহুল হোটেল লে রয়্যাল মনচিআওতে অবস্থান করছিলেন লিওনেল মেসি। রাতপ্রতি এই হোটেলের ভাড়া বাবদ মেসিকে গুণতে হচ্ছে বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২০ লাখ টাকা। সম্প্রতি সেখানেই ঘটেছে ডাকাতির ঘটনা।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম দ্যা মিরর ও এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে এ কথা জানা যায়।
তবে আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড এবং তার পরিবারের রুম থেকে কিছু খোয়া গেছে কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি।
ইংলিশ সংবাদমাধ্যম দ্যা সানের বরাত দিয়ে করা এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে জানা যায়, বুধবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ওই হোটেলের ৪টি রুমে হানা দেয় ডাকাতরা। সেখান থেকে বড় অঙ্কের নগদ অর্থ এবং অলঙ্কার লোপাট করে নেয় তারা।
যদিও মেসির হোটেল রুম থেকে কিছু খোয়া গেছে কি না সেই বিষয়ে কেউই নিশ্চিত করে কিছু বলতে পারেনি।
আরও পড়ুন- প্যারিসে ২০ লাখ টাকা বাড়ি ভাড়া দিয়ে থাকবেন মেসি
জানা যায়, ছাদ দিয়ে বিল্ডিংয়ের বাইরে থেকে ওই হোটেলে ঢোকে চোরেরা। তারপর আনলককৃত বারান্দার দরজা দিয়ে রুমে ঢুকে পড়ে। সিসিটিভি ক্যামেরায় একটি ব্যাগ নিয়ে দুজন লোককে ছাদে দেখা গেলেও তাদের শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ডাকাতির শিকার হওয়া এক ভুক্তভোগী নারী ঘরে ঢুকে টের পান তার কানের দুল, নেকলস ও নগদ অর্থ নেই। তিনি বলেন, ‘‘টাকা খরচ করে নিরাপদ একটি জায়গায় থাকার পর কেউ আপনার রুমে প্রবেশ করলে তা খুব হতাশাজনক। পুলিশ আমাদের বলেছে সিসিটিভি ক্যামেরায় একটি ব্যাগ নিয়ে দুজন লোককে ছাদে দেখেছে। কিন্তু তাদের শনাক্ত করতে পারেনি তারা। তারা আরও বলেছে, আরও তিনটি রুমে চুরির ঘটনা ঘটেছে। পাশের রুমে থাকা এক মরক্কোর নাগরিক জানালো সে তার ঘড়ি খুঁজে পাচ্ছে না।’’
হোটেলটির এক মুখপাত্র জানান, নিরাপত্তা ব্যবস্থা খুব শক্ত ছিল এবং এ ব্যাপারে তদন্ত করা হচ্ছে। চোরেরা যে খুব অভিজ্ঞ সেই বিষয়ে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এমন নামীদামী হোটেলে ডাকাতির ঘটনার পর সেখানকার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। প্যারিসের পুলিশ অবশ্য হোটেল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছে।
মতামত দিন