প্রথমার্ধে ৭৫% বলের দখল রেখেও গোলবারে মোটে তিন শর্ট বার্সার। আর মাত্র ৩২% সময় বল পায়ে রাখতে পারা কাদিজ ১৩টি শট নেয়, যার তিনটি ছিল লক্ষ্যে
হতাশা পিছু ছাড়ছে না বার্সেলোনার। জয় যেন আমাবস্যার চাঁদ হয়ে গেছে স্প্যানিশ জায়ান্ট ক্লাবটির কাছে। এবার তাদের সামনে বাধা হয়ে দাঁড়ালো কাদিজ সিটি।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভোরে শুরু থেকেই তারা ব্যর্থ হয়েছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিতে। ম্যাচে প্রতিপক্ষের মাঠে জিততে পারেনি রোনাল্ড কোমানের শিষ্যরা। প্রথমার্ধে অনেকটাই বিবর্ণ ছিল বার্সা। পরে দ্বিতীয়ার্ধের শুরুর দিকে কিছুটা ছন্দ খুঁজে পেতেই লাল কার্ড দেখেন ফ্র্যাঙ্কি ডি ইয়ং। আবারও খেই হারায় রোনাল্ড কোম্যান শিষ্যরা। শেষ অবধি মাঠ ছাড়তে হয়েছে গোলশূন্য ড্র নিয়ে। ফলে স্প্যানিশ লা-লিগায় শেষ পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতেই ড্র করল বার্সা।
রোনাল্ড কোম্যানের ভাগ্য দুলছে পেন্ডুলামের মতো। মাঠ কিংবা মাঠের বাইরে কোনো কিছুতেই স্বস্তিতে নেই এই ডাচ ম্যান। কাদিজের ব্যর্থতার পর ম্যাচ শেষে যেন লুকাতে চাইলেন নিজের অবয়ব। সঙ্গে চাকরিটাও ফেলে দিলেন শঙ্কার মুখে। অথচ প্রত্যাবর্তনের মঞ্চ হতে পারতো এই কাদিজই। যাদের বিপক্ষ ধারে কিংবা ভারে, যোজন যোজন এগিয়ে বার্সেলোনা।
বল দখলে অবশ্য এগিয়ে ছিল বার্সেলোনাই। প্রথমার্ধে ৭৫% বলের দখল রেখেও গোলবারে মোটে তিন শর্ট। তিন শর্টে কাদিজের রক্ষণকে পরীক্ষায় ফেলতে পারেনি। আর মাত্র ৩২% সময় বল পায়ে রাখতে পারা কাদিজ ১৩টি শট নেয়, যার তিনটি লক্ষ্যে। অন্য ক্লাবের সমর্থক তো বটেই গায়ে জ্বালা বাড়াবে বার্সেলোনা নিখাদ সমর্থকেরও। মেম্ফিস ডিপেই, লুক ডি ইয়ংরা ব্যর্থ বৃত্ত ভাঙ্গতে। ব্যর্থ তরুণ ইউসুফ ডেমিরও।
হতাশা থেকেই কিনা ম্যাচের ৬৫তম মিনিটে ফ্রাঙ্ক ডি ইয়ংয়ের লাল কার্ড। যদিও ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। প্রতিপক্ষের পায়ে লাগার আগে বল স্পর্শ করেছিলেন, এমনটিই দেখা গেছে টিভি রিপ্লেতে। এই ধাক্কা আর পুরো ম্যাচে সামলে উঠতে পারেনি বার্সা। ১০ জনের দল নিয়ে বার্সার খেলা হয়ে পড়ে আরো লেজেগোবরে। শেষদিকে অবশ্য বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণে যায় দুই দলই। কিন্তু কেউই গোলের দেখা পায়নি। ফলাফল হতাশার ড্র।
এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচ কাদিজের বিপক্ষে জয়শূন্য থাকল বার্সা। চলতি মৌসুমে লিগে এটি তাদের টানা দ্বিতীয় ও সবমিলিয়ে তৃতীয় ড্র। পাঁচ ম্যাচে দুই জয় ও তিন ড্রয়ে ৯ পয়েন্ট নিয়ে সাত নম্বরে বার্সেলোনা। ৬ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে আছে রিয়াল মাদ্রিদ।
এদিকে, ২০২২ সালের জুন নাগাদ রোনাল্ড কোম্যানের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ বার্সেলোনার। সাম্প্রতিক সময়ে দুপক্ষের সম্পর্কটা অতটা ভালো যাচ্ছে না। এই অবস্থায় মেয়াদ ফুরানোর আগে নতুন চুক্তি না করলে ঋণের তলে থাকা বার্সেলোনাকে কোচের পেছনে আরও ছয় মিলিয়ন ইউরো খরচ করতে হবে। ক্লাবটির সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির চলে যাওয়ার পর যেন দিশাহীন হয়ে পড়েছে তারা। একের পর এক হারের বৃত্তে বন্দি কাতালোনিয়ার ক্লাবটি।
মতামত দিন