ব্যাটিংয়ে নেমে যুবরাজের সঙ্গে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের। সেই ক্ষোভে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন
২০০৭ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর। ক্রিকেট বিশ্বে দিনটি যেন ছিল ভারতীয় ব্যাটসম্যান যুবরাজ সিংয়ের। ১৪ বছর আগে এই দিনেই যুবরাজ ইতিহাস গড়েছিলেন। ২০০৭ টি-২০ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্যাটিংয়ে নেমে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয় অ্যান্ড্রু ফ্লিনটফের। সেই ক্ষোভে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন যুবি। ম্যাচে স্টুয়ার্ট ব্রডের করা ১৯তম ওভারের প্রতিটি বলে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন তিনি।
ডারবানে অনুষ্ঠিত সেই ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ব্যাটিং করেছিল ভারতীয় দল। ওপেনিং জুটি হিসাবে বীরেন্দর শেহওয়াগ ৫৮ ও গৌতম গম্ভীর ৬৮ রান করেছিলেন। ১৪.৪ ওভারে ভারতীয় দল মাত্র এক উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলে ফেলেছিল। এরপর স্বল্প রানের ব্যবধানে তিন ভারতীয় ব্যাটসম্যান আউট হলে যুবরাজ ক্রিজে আসেন। সঙ্গে নন-স্ট্রাইকে ছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি।
১৯তম ওভারে যুবরাজের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে গিয়েছিলেন ব্রড। বুঝে উঠতে পারেননি, ঠিক কোথায় বল ফেললে যুবরাজের তাণ্ডব থামবে।
প্রথম বলেই লং অনে ছক্কা মেরে যুবি বুঝিয়ে দিয়েছিলেন, তাকে খোঁচা দিয়ে ফ্লিনটফ ঠিক করেননি। দ্বিতীয় বলটি ফ্লিক করে পাঠান ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগ দিয়ে বাউন্ডারির বাইরে। তৃতীয় বলে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে আবারও ছয়! টানা তিন বলে তিন ছয় খেয়ে ঘাবড়ে যাওয়া ব্রড চতুর্থ বলটি দিয়েছিলেন ফুলটস। ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টের ওপর দিয়ে আবারও ছয় হাঁকিয়েছিলেন যুবরাজ।
এই পর্যায়ে শুধু ব্রডই নন, পুরো ইংল্যান্ড দলই হয়ে গিয়েছিল দিশেহারা। এবার ছোটখাটো টিম মিটিং সেরে আবার বোলিং লাইনে ফেরেন ব্রড। কিন্তু যুবরাজ যেন তখন ভিন গ্রহের ব্যাটসম্যান! পঞ্চম বলেও সজোরে ব্যাট চালিয়েছিলেন হাঁটু গেড়ে। এবার মিড উইকেটের ওপর দিয়ে ছয়! ষষ্ঠ বলে ইতিহাসগড়া ছয়টা মেরেছিলেন মিড অনের ওপর দিয়ে। এই ছয় দিয়েই পূর্ণ হয়েছিল যুবরাজের অর্ধশতক। অথচ তখন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান খেলেছেন মাত্র ১২টি বল। শেষ ওভারের পঞ্চম বলে আউট হওয়ার আগে যুবরাজ করেছিলেন ১৪ বলে ৫৮ রান। এর মধ্যে বাউন্ডারি থেকেই এসেছিল ৫৪ রান।
সেদিন মত্র ১২ বলে যুবরাজ হাফসেঞ্চুরি তুলে নিয়েছিলেন। টি-২০ ক্রিকেটে যা ছিল সবচেয়ে দ্রুততম ফিফটি। যুবরাজ সেদিন ১৬ বলে ৫৮ রানে ঝড়ো ইনিংস খেলেছিলেন। সাতটি ছক্কা ও তিনটি বাউন্ডারিতে সাজানো ছিল সেই ইনিংস।
মতামত দিন