জোড়া গোলের মাধ্যমে রেড ডেভিলদের হয়ে পুনরাভিষেকটা স্মরণীয় করে রাখলেও রোনালদোকে একই দিনে তাকে বিব্রতকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে
দীর্ঘ এক যুগ পর প্রিমিয়ার লিগে রোনালদোর দ্বিতীয় শুরুটা হয়েছে স্বপ্নের মতোই। শনিবার (১১ সেপ্টেম্বর) ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের হয়ে পুনরাভিষেকটা জোড়া গোল দিয়ে স্মরণীয় করে রেখেছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দর্শকরাও দারুণ অভ্যর্থনায় রোনলদোকে স্বাগত জানান। তবে একই দিনে তাকে একতি বিব্রতকর এবং অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতেও পড়তে হয়েছে।
নিউক্যাসলের বিপক্ষে রেড ডেভিলদের ম্যাচের শুরুতেই রোনলদোর বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ এনে অভিযোগকারী নারীর পক্ষে সমর্থনে থিয়েটার অফ ড্রিমস খ্যাত ওল্ড ট্রাফোর্ডের ওপর দিয়ে বিমান দিয়ে ওড়ানো হয়েছে প্রতিবাদী বার্তার ব্যানার। বিমান সহযোগে ম্যনচেস্টারের আকাশে ওড়ানো ব্যানারে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা ছিল- "'ক্যাথরিন মায়োরগাকে বিশ্বাস করো"।
মূলত রোনালদোর বিরুদ্ধে ওঠা ধর্ষণের অভিযোগ সবাইকে মনে করিয়ে দিতেই এ উদ্যোগ নিয়েছে ইংল্যান্ডের একটি নারীবাদী সংগঠন "লেভেল আপ"। পরে সামজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারেও তারা বলে, "আসুন ফুটবল সম্প্রদায়ের কাছ থেকে অবমাননার বিষয়ে নীরবতাকে আমরা না বলি।"
☄️ We flew a plane over the Man United football ground and our message is simple: Believe Kathryn Mayorga.
— Level Up (@we_level_up) September 11, 2021
Let’s say NO to the culture of silence around abuse from the football community. Pledge your solidarity with Kathryn & survivors: https://t.co/YZgcxou75E pic.twitter.com/jvGVOBYTIP
রোনালদোর বিরুদ্ধে ওঠা যৌন নিপীড়নের অভিযোগটা অবশ্য নতুন নয়। পর্তুগিজ তারকার বিরুদ্ধে মায়োরগার অভিযোগ, ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেল কক্ষে রোনালদো তাকে ধর্ষণ করেছিলেন। তবে সে বছরই নিজের অভিযোগ প্রত্য্যাহার করে নেন মায়োরগা।
কিন্তু ২০১৮ সালে "মি টু" আন্দোলন থেকে সাহস পেয়ে রোনালদোর বিরুদ্ধে পুনরায় একই অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন। তবে যথোপযুক্ত প্রমাণাদির অভাবে ২০১৯ সালে রোনালদোর পক্ষে মার্কিন প্রসিকিউটরদের রায় যাওয়ায় পুলিশ তদন্ত বন্ধ করে দেয়।
৩৬ বছর বয়সী পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড অবশ্য বরাবরই এসব দাবি অস্বীকার করেছেন। ২০১৮ সালে টুইটারে তিনি বলেন, "আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হচ্ছে তা আমি দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করি। আমি বিশ্বাস করি ধর্ষণ একটি জঘন্য অপরাধ যা সবকিছুর বিরুদ্ধে যায়।"
পরের বছর তিনি জানান, তার বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগটি তার সম্মানহানি করে তার জীবনের সবচেয়ে খারাপ বছরের দিকে টেনে নিয়ে গেছে।
পর্তুগিজ টেলিভিশন টিভিআইকে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "ব্যক্তিগতভাবে বলতে গেলে ২০১৮ সাল সম্ভবত আমার জন্যে সবচেয়ে খারাপ বছর ছিল। মানুষ যখন আপনার সম্মান নিয়ে প্রশ্ন তুলে, তখন এটি আপনাকে অনেক কষ্ট দেয়।"
তবে তখন রোনালদো যাই বলে থাকুন না কেন, লেভেল আপের ওড়ানো প্রতিবাদী বার্তার ব্যানার সেই পুরোনো ঘটনাকে নতুন কোনো মোড়ে নিয়ে যায় কি না সেটিই এখন দেখার বিষয়।
মতামত দিন