২০ বছর বয়সী জিদান বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত প্রথম ফুটবলার হিসেবে যোগ দিয়েছেন লা লিগায়
বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত ফুটবলার জিদান মিয়া স্প্যানিশ টপ-ফ্লাইট সাইড রায়ো ভ্যালেকানোর সাথে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার পর শনিবার (২৮ আগস্ট) সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশের ফুটবল ভক্তদের মধ্যে আলোচনার ঝড় তুলেছেন।
২০ বছর বয়সী জিদান বাংলাদেশি প্রথম ফুটবলার হিসেবে যোগ দিয়েছেন লা লিগা ক্লাবে। দেশ ও দেশের বাইরে অবস্থানরত বাংলাদেশি ভক্তদের তাই আগ্রহের শেষ নিয়ে জিদান মিয়ার পরিচয় ও লা লিগা ক্লাবে যোগ দেওয়া পর্যন্ত তার অভিজ্ঞতার কথা জানার জন্য।
জিদান এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দলের হয়ে মাঠে নামলেও ভক্তদের আশা বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত অন্য চার প্রবাসী ফুটবলারের মতো জিদানও একদিন বাংলাদেশের জাতীয় দলের প্রতিনিধিত্ব করবে।
ঢাকা ট্রিবিউনের পাঠকদের জন্য জিদানের ফুটবলার হয়ে ওঠা এবং লা লিগা পর্যন্ত যাত্রার কথা সংক্ষেপে তুলে ধরা হল।
জন্ম ও বেড়ে ওঠা
২০০১ সালের ৭ মার্চ যুক্তরাজ্যের কেন্ট শহরে সুফিয়ান মিয়া ও শিপা মিয়ার ঘরে জন্ম জিদান মিয়ার।
সুফিয়ান এবং শিপা, মৌলভীবাজার উপজেলার রাজনগরের পৈতৃক বাড়ি ছেড়ে ১৯৭০-এর দশকে লন্ডনে চলে যান। তাদের জিদান বাদে আরও দুই মেয়ে আছে।
জিদানকে খুব অল্প বয়সে তার বাবা একটি ফুটবল উপহার দিয়েছিলেন। এবং খুব স্বল্প সময়ের মধ্যেই জিদান তার দক্ষতা দিয়ে সকলের মনোযোগ আকর্ষণ করতে শুরু করে।
মাত্র সাত বছর বয়সেই জিদান বিশ্বখ্যাত “ডেভিড বেকহ্যাম একাডেমি”তে বেকহ্যামের ভাগ্নে ফ্রেডি এবং অন্যান্য অনেক বাচ্চাদের সাথে ট্রেনিং শুরু করে।
সেখানে দুই বছর খেলার পর, জিদান যুক্তরাজ্য এবং ওয়েলসের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ করেন “ডুলউইচ হ্যামলেট এফসি”, “সকার এলিট এফএ”, “প্রো টাচ সকার একাডেমি” এবং শীর্ষ ফ্লাইট ক্লাব “ক্রিস্টাল প্যালেস” ও “আর্সেনালের ডেভেলপমেন্ট একাডেমি” গুলোতে খেলার জন্য।
জিদান ডেনমার্ক, স্পেন, হংকং এবং থাইল্যান্ডের বেশ কয়েকটি যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তার আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে সমৃদ্ধ করেন।
যুক্তরাজ্য থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইংল্যান্ডে ফিরে আসা
১১ বছর বয়সে পেশাদার ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের জন্য জিদান বাবা-মা ও ছোট বোনকে সঙ্গে নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাড়ি জমান।
সেখানে “এরি এফসি”, “কলম্বাস ক্রু অনূর্ধ্ব-১৪” দলের জন্য এবং টেক্সাসের “মাইকেল জনসন পারফরমেন্স সেন্টার”-এর পক্ষ থেকে বৃত্তি অর্জনের পর, ছয় বছর ধরে “এফসি ডালাস ইয়ুথ” টিমের সাথে খেলেন।
দুই মাসের ট্রায়াল দিয়ে ভ্যালেকাস শ্রেণিবিন্যাসকে প্রভাবিত করে রায়ো ভালেকানোতে সাইন করার আগে জিদান “ব্রোমলি এফসি অনূর্ধ্ব-২৩” দলের হয়ে খেলতে ইংল্যান্ডে ফিরে আসেন।
খেলায় অবস্থান
জিদান লেফট উইং বা সেন্ট্রাল অ্যাটাকিং মিডফিল্ডে খেলতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন।
প্রিয় ক্লাব, প্রিয় খেলোয়াড়
জিদানের নামই তার প্রিয় ফুটবলার কে তা বলে দেয়। আর সে হল জিনেদিন জিদান। এছাড়া, ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো এবং বেকহ্যামকেও পছন্দ জিদানের। প্রিয় ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডকে।
বিশেষ গুণ
মাইকেল জনসন পিসি’র ডিরেক্টর ব্রায়ান ম্যাককাল বলেছেন, চোখে উজ্জ্বল আভা, ক্ষুধার্ত বহির্গামী ব্যক্তিত্ব এবং সহজেই মিশে যাওয়া মনোভাব জিদানের প্রধান বৈশিষ্ট্যসূচক গুণ।
মতামত দিন