২০০৬ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের সঙ্গে সতীর্থ হিসেবে বাংলাদেশ দলে ছিলেন তিনি
হুমায়ুন কবির জ্যোতির পর আরেক বাংলাদেশি ক্রিকেটারের অভিষেক হলো ইউরোপে। গত ১৯ আগস্ট মাল্টা ও জিব্রাল্টারের বিরুদ্ধে ত্রিদেশীয় সিরিজে পর্তুগালের হয়ে অভিষেক হয় সিরাজউল্লাহ খাদিমের, যিনি নিপু নামে সমধিক পরিচিত। ৩৩ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার এখন ইউরোপের জাতীয় ক্রিকেট দলের হয়ে প্রতিনিধিত্বকারী সর্বশেষ ক্রিকেটার।
গত ১৪ আগস্ট সুইডেনের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলো খুলনার বোলার হুমায়ুন কবির জ্যোতির।
ক্যরিয়ারের শুরুতে ২০০৬ সালে শ্রীলংকায় অনুষ্ঠেয় অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান এবং তামিম ইকবালের সঙ্গে সতীর্থ হিসেবে বাংলাদেশ দলে ছিলেন। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে সিলেট বিভাগের হয়ে খেলার পাশাপাশি ঢাকা প্রিমিয়ার লিগেও বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন তিনি।
নিপুর মধ্যে সম্ভাবনাময় অলরাউন্ডারের ছায়া দেখতে পেয়েছিলেন বাংলাদেশ হাই পারফরম্যান্স স্কোয়াডের সাবেক কোচ শন উইলিয়ামস। অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপের পরপরই নিপুকে ২০০৭ সালে অস্ট্রেলিয়ায় ডারউইন ক্লাবের হয়ে খেলার সুযোগ করে দিয়েছিলেন উইলিয়ামস।
লিসবন থেকে নিপু গণমাধ্যমকে বলেন, “তাদের (উইলিয়ামস, সাকিব, মুশফিক এবং অন্যান্য) সঙ্গে এখনও আমার নিয়মিত যোগাযোগে আছে। আমি কয়েকদিন আগে সাকিবের সঙ্গে কথা বলেছিলাম, যখন সে যুক্তরাষ্ট্রে ছিল। তিনি আমাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। আমি মুশফিকের সঙ্গেও কথা বলেছি।”
সমসাময়িক সাকিব, তামিম, মুশফিকরা বিশ্ব ক্রিকেটে এগিয়ে গেলেও নিপু ছিলেন দুর্ভাগ্যের শিকার। ২০০৯ সালে হবিগঞ্জে একটি ক্রিকেট ম্যাচ চলাকালে চোখের ইনজুরিতে পড়ায় বাংলাদেশের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করার স্বপ্ন অনেকটাই ফিকে হয়ে যায় তার। ধীরে ধীরে ক্রিকেট থেকে দূরে সরে যাওয়ার পর ২০১৪ সালে প্রাক্তন বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের (বিকেএসপি) সাবেক এই ছাত্র পর্তুগালে অভিবাসনের সিদ্ধান্ত নেন।
নিপু বলেন, “আমি ২০১৫ সালে পর্তুগালে খেলতে শুরু করলেও এর শুরুটা হয়েছিল ২০০২ সালে। আমি বাংলাদেশে সব বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলেছি। চোখের ইনজুরির আগ পর্যন্ত আমি সঠিক পথে ছিলাম। ইনজুরিটি আমাকে দীর্ঘদিন ধরে মাঠের বাইরে রেখেছিল।”
তিনি আরও বলেন, “আমি আমার ইনজুরিতে সহায়তার জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করে সাহায্যের জন্য অনুরোধ করার পাশাপাশি হাসপাতালে এসে আমার অবস্থা দেখতে বলেছিলাম। কিন্তু দুঃখজনকভাবে তাদের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।”
পর্তুগালের হয়ে খেলার পাশাপাশি ইংল্যান্ডে মাইনর কাউন্টি ক্রিকেটে খেলে নিজেকে একজন ভালো ক্রিকেটার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করাই এখন নিপুর মূল লক্ষ্য।
মতামত দিন