জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা সর্বশেষ দেশের বাইরে ঈদ করেছেন ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সময়
ঈদ মানেই পরিবার পরিজন নিয়ে আনন্দময় এক উৎসব। পরিবারের প্রতিটি সদস্য যে যেখানেই থাকুক ঈদের আগে ঠিকই ছুটে আসেন পরিবারের কাছে। যত বাধা আসুক একটু আনন্দ ভাগাভাগি করতে যেনো জীবনে ঝুঁকি নেওয়াতেও আপত্তি নেই। বুধবার (২১ জুলাই) করোনাভাইরাসের মধ্যেও দেশব্যাপী উদযাপিত হচ্ছে পবিত্র ঈদ-উল-আজহা।
তবে জাতীয় দলের ক্রিকেটাররা ঈদ করতে পারেননি পরিবারের সাথে। কেননা তাদের সেই সুযোগ নেই। তারা এখন রয়েছেন আফ্রিকার দেশ জিম্বাবুয়েতে। ক্রিকেটারদের সময় কাটছে বায়োবাবলের ভিতরে। এরপরও আক্ষেপ নেই তাদের কারণ তারা যে যোদ্ধা। দেশের হয়ে লড়ছেন। আর তাই ভক্তদের শুভেচ্ছা জানাতে ভুলেননি তামিম ইকবাল-সাকিব আল হাসানরা।
পরিবার–পরিজনহীন ঈদ ক্রিকেটের সঙ্গে থাকাদের জন্য নতুন নয়। এর আগে যেমন বাংলাদেশ দল সর্বশেষ দেশের বাইরে ঈদ করেছে ২০১৯ সালের বিশ্বকাপের সময়। ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে সেবার রোজার ঈদটা তাদের কেটেছিল লন্ডনে।
সাকিব আল হাসান তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শুভেচ্ছা জানিয়ে লিখেছেন, “পবিত্র এই ঈদ প্রিয়জনদের সঙ্গে আমাদের জীবনেও বয়ে আনুক প্রশান্তি ও সুস্থতা। আসুন প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলি ও সবাই উপভোগ করি একটি সুস্থ ও সুন্দর ঈদ। আপনাদের সকলকে ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।”
তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখছেন, “দেশের বাইরে দ্বিতীয় পরিবারের সঙ্গে ঈদ পালন করছি। পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। পরিবারের সাথে আনন্দময় ঈদ উদযাপন করুন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সর্তক থাকুন।”
এর আগে সকাল নয়টায় ক্রেস্টা লজ হোটেলের সবুজ চত্বরে নামাযের জন্য মিলিত হন তারা। ২০ জন মানুষের উপস্থিতিতে ঈদের জামাত পরেন ক্রিকেটাররা। নামায শেষে দুপুর সাড়ে ১২টায় হারারে স্পোর্টস ক্লাব মাঠে অনুশীলন এবং তাতে মোটামুটি দলের অনেকেই যোগ দিলেন।
ঈদ উপলক্ষে আজ হোটেলের রান্নাঘর দখলে নিয়ে নিয়েছেন টোটাল স্পোর্টসের হেড অব প্রোডাকশন তানভীর আহমেদ। হোটেলে থাকা বাংলাদেশি অতিথিদের জন্য দুপুরে নিজ হাতে রান্না করছেন ঈদের বিশেষ খাবার।
যদিও টি–টোয়েন্টি সিরিজে খেলবেন না তামিম ইকবাল এবং মেহেদী হাসান মিরাজ। তারা আজ সন্ধ্যার ফ্লাইটেই ফিরে আসছেন দেশে।
মতামত দিন