অস্ট্রেলিয়াকে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান।
অস্ট্রেলিয়াকে ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের ফাইনালে ৬ উইকেটে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। ৪ বল বাকি থাকতেই অস্ট্রেলিয়ার ১৮৩ রানের টার্গেট পার করে পাকিস্তান।
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষের ম্যাচটিতে পাকিস্তানের বাঁহাতি ওপেনার ফখর ৪৬ বলে ৯১ রান করে অনেকটাই নিশ্চিত করে ফেলেন ম্যাচের ভাগ্য। এদিকে, পাকিস্তানি ওপেনারদের আগে ঝড় তুলেছিলেন অস্ট্রেলিয়ান ওপেনাররা। ৯.৫ ওভারের জুটিতে অ্যারন ফিঞ্চ ও ডার্সি শর্ট ৯৫ রান করেন। এর মধ্যে ফিঞ্চ করেন ২৭ বলে ৪৭, আর শর্ট ৫৩ বলে তুলেন ৭৬ রান।
কিন্তু, জুটিটি ভেঙে যাওয়ার পর আর তেমন একটা ভালো খেলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ওপেনারদের পর সর্বোচ্চ রান করেছেন ট্রাভিস হেড, ১১ বলে ১৯ রান করেন তিনি। আর মার্কাস স্টয়নিস করেন ১২ রান। ২০০ রানের পথে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়া থমকে যায় ১৮৩ রানে।
অন্যদিকে, মাঠে নেমেই দুই উইকেট হারায় পাকিস্তান। গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের বলে প্রথম ওভারেই উইকেট ধরে রাখতে পারেনি দলটি। পরে ম্যাক্সওয়েলকে তুলোধুনো করেই পাল্টা আক্রমণ শুরু করে পাকিস্তান। তৃতীয় ওভারে দুটি চার মারেন ফখর, আর ওভারের শেষ দুই বলে চার ও ছয় মারেন সরফরাজ আহমেদ। ১৯ বলে ২৮ রান করে আউট হন সরফরাজ। তবে, ফখরের ব্যাট তখনও থামেনি।
তৃতীয় উইকেটে শোয়েব মালিকের সঙ্গে ১০৭ রানের জুটি গড়েন ফখর। এর মধ্যে ৩৬ বলে ৭৩ রান তুলেন ফখর, আর ২৮ বলে ২৭ রান তুলেন মালিক। ফখর আউট হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ৪ ওভারে ৩০ রান। পরের ওভারে ২ রান হলেও, জাই রিচার্ডসনের এক ওভারেই মালিক ও আসিফ আলি দুটি ছয় মারেন।
পরবর্তীতে, ৩৭ বলে ৪৩ রানে অপারিজত থেকে দলের জয় সঙ্গে নিয়েই ফেরেন মালিক। আর, ১১ বলে ১৭ রান করে অপারজিত থাকেন পাকিস্তানি ক্রিকেটার আসিফ আলি। টি-টোয়েন্টিতে, পাকিস্তানের এটিই সবচেয়ে বড় রানের টার্গেটে জয়। আগের রেকর্ডটি ছিল ২০১২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ১৭৫ রানের টার্গেটে জয়।
মতামত দিন