১৯৬৬ সালের সেই টুর্নামেন্টে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিকেরা। তখন তারা করেছিল ১১ গোল। এবার সেমিফাইনালে ওঠার পথেই ১১ গোল করেছে কেইনের দল।
২৮ বছর পর এবার সেমিফাইনালে ইংল্যান্ড। তবে হ্যারি কেইন-ডেলে আলিদের এই ইংল্যান্ড কিন্তু ৫২ বছর আগে ববি চার্লটন-ববি মুরদের ইংল্যান্ডের পথেই হাঁটছে। শুধু সেমিফাইনালে ওঠার জন্যই নয়। পরিসংখ্যানও বলছে, ববি মুরদের সোনালি ’৬৬ ফিরিয়ে আনার পথেই হাঁটছে এবারের ইংল্যান্ড।
সুইডেনের বিপক্ষে এ ম্যাচে দুটি গোলই এসেছে হেড থেকে। এই বিশ্বকাপে বাকি দলগুলোর চেয়ে ইংল্যান্ড মাথা দিয়েই বেশি গোল করেছে। ১১ গোলের মধ্যে ৫টি গোলই তাঁরা করেছে হেড থেকে। ‘সেটপিস’ অর্থাৎ ‘ডেড বল’ পরিস্থিতি থেকে এসেছে ৮ গোল। যা ইংল্যান্ডের করা মোট গোলের ৮০ শতাংশ। এবং যেকোনো দলের থেকে তারা দুটি গোল বেশি করেছে ‘সেটপিস’ থেকে।
ইংল্যান্ডের ঘরে ওই একটাই বিশ্বকাপের ট্রফি। ১৯৬৬ সালের সেই টুর্নামেন্টে ঘরের মাঠে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল স্বাগতিকেরা। তখন তারা করেছিল ১১ গোল। এবার সেমিফাইনালে ওঠার পথেই ১১ গোল করেছে কেইনের দল। বিশ্বকাপে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এক টুর্নামেন্টে ন্যূনতম ১০ গোল করল ইংলিশরা। প্রথমবার ’৬৬-তে, তারপর এবার। প্রথমবার তারা ট্রফি জিতেছিল, তাহলে কি এবারও?
কেইনদের ’৬৬ ফিরিয়ে আনার ইঙ্গিত দিচ্ছে আরও একটি পরিসংখ্যান। সেবার কোয়ার্টার ফাইনালে আর্জেন্টিনার বিপক্ষে ১-০ গোলে জিতেছিল ইংল্যান্ড। তারপর এই ৫২ বছরের মধ্যে (এবারের আগে) তাঁরা অন্তত পাঁচবার কোয়ার্টার ফাইনাল খেলেছে। কিন্তু শেষ আটের এই মঞ্চে কোনো ম্যাচেই তাঁরা নিজেদের জাল অক্ষত রাখতে পারেনি। যে কাজটা হলো এবার। সুইডেনের বিপক্ষে কোনো গোল হজম করেনি ইংলিশ রক্ষণ।
ইংল্যান্ডের সমর্থকরাও এবার ভীষণ আশাবাদী। কেইনদের ম্যাচ থাকলেই স্টেডিয়ামের গ্যালারিতে সুর ওঠে ‘ইটস কামিং হোম’ কোরাসের। এটা ইংল্যান্ড ফুটবল দলের জন্য ‘থ্রি লায়নস’ গানের চরণ। ১৯৯৬ ইউরো টুর্নামেন্টে সাউথগেটদের সৌভাগ্য কামনা করে গানটি বেঁধেছিল লাইটনিংস সিডস ব্যান্ড। ২২ বছর পর সেই গানের সার্থকতা প্রমাণের পথে রয়েছেন কেইনরা।
মতামত দিন