‘গার্দিওলার ছায়া তো আমাদের সিটি খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেই’- জন স্টোনস।
গার্দিওলা স্পর্শে দায়িত্বপ্রাপ্ত লিগ দলের মিশন অনেকটাই সহজ হয়ে যায়। কেননা তিনি যে জয়ী কোচ। তাঁর নিপুণ হাতে পরিপূর্ন হয় সাফল্য। তাঁর উদাহারণ গার্দিওলার বেশকিছু শীর্ষের বদৌলতে ২০১০-এ স্পেনে, ২০১৪-তে জার্মানি সাবেক চ্যাম্পিয়ান। এবার তাঁর দায়িত্বরত সিটির বেশ কিছু খেলোয়াড় ইংল্যান্ডের । দেখা যাক ইংল্যান্ডের দৌড় কতদূর পোঁছায়।
বিশ্বকাপের সময় গার্দিওলা যে দেশের লিগে থাকেন, সেই দেশ চ্যাম্পিয়ন হয়। বিষয়টি কিছুটা কাকতালীয় হতে পারে। ক্লাবের ক্ষেত্রে কোচের ইচ্ছায় দল গঠন হয়। এবার অবশ্য ইংল্যান্ডে সিটির খেলোয়াড়দের সংখ্যাটা এত বেশি নয়। চার জন মাত্র। সমান চারজন আছেন ব্রাজিলেও। তবে গার্দিওলার কাছ থেকে ব্রাজিল নয়, ইংল্যান্ডই বেশি নিয়েছে আসলে।
ইংলিশ ডিফেন্ডার জন স্টোনসের মতে, ‘গার্দিওলার ছায়া তো আমাদের সিটি খেলোয়াড়দের মধ্যে আছেই। আমরা চেষ্টা করেছি ওর কাছ থেকে যা শিখেছি, সেটা ইংল্যান্ড দলের বাকিদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে’।
বিষয়টি আরেকটু পর্যালোচনা করলে দেখা যাবে যে, তিউনিসিয়ার বিপক্ষে যোগ হওয়া সময়ে হ্যারি কেইনের গোলটার উদাহরণ দিয়েছেন সিটি থেকে আসা আরেক ইংল্যান্ড ডিফেন্ডার কাইল ওয়াকার। যে প্ল্যানটা তৈরি হয়েছে ওয়াকার-স্টোনসের মধ্যে সিটিতে খেলার সময়। বিষয়টা অনেকটাই কাকতালীয় মনে হলেও কিছুটা প্রভাব যে গার্দিওলার রয়েছে তা অস্বীকার করা যাবে না।
স্টোনস তো জানিয়েই দিলেন, ‘ওর (গার্দিওলা ) অধীনে না খেললে আমি বিশ্বকাপেই আসতে পারতাম বলে মনে হয় না। গত দুই বছরে খেলোয়াড় ও মানুষ হিসেবে বেড়ে উঠতে পেপ আমাকে অনেক সাহায্য করেছেন’।
ইংল্যান্ড কোচ গ্যারেথ সাউথগেট নিজেও গার্দিওলার পরামর্শ নিয়েছেন। গার্দিওলার নিয়ে মন্তব্য করেন সাউথগেট, ‘ও আসলে একজন উদ্ভাবক। সিটি যে ধরনের ফুটবল খেলেছে গত মৌসুমে, সেটা দুর্দান্ত’।
গার্দিওলার স্পর্শে সফলভাবে রূপায়িত হয়েছে সাবেক বার্সেলোনা মিডমিল্ডার জাভি। বিশ্বকাপের আগে তিনি জানিয়েছিলেন, ‘আপনার মধ্যে যদি শেখার আর জানার আগ্রহ থাকে, গার্দিওলার অধীনে খেলে না শেখাটা আপনার জন্য অসম্ভব হয়ে যাবে। গত মৌসুমে সিটি যেভাবে খেলেছে, আমি নিশ্চিত বিশ্বকাপে ইংল্যান্ড সেটা থেকে লাভবান হবে।’
মতামত দিন