প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা জানে নির্বাচনে তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তাদের চেষ্টা হলো এটাকে বিতর্কিত করা।’
জেতার কোনো সম্ভাবনা না থাকায় বিএনপি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, “তারা জানে নির্বাচনে তাদের জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই। তাই তাদের চেষ্টা হলো এটাকে বিতর্কিত করা। জনগণের মাঝে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা এবং যে কোনো উপায়ে তাদের (জনগণের) ক্ষতি করা।”
সোমবার (৪ অক্টোবর) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তৃতায় একথা বলেন।
বিকেলে গণভবনের ব্যাংকুয়েট হলে প্রধানমন্ত্রী উপস্থিত থেকে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের সরাসরি উত্তর দেন এবং সাংবাদিকদের অপর একটি অংশ এ সময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে উপস্থিত থেকে ভিডিও কনফারেন্সে প্রশ্নোত্তর পর্বের সঙ্গে সংযুক্ত ছিলেন।
শেখ হাসিনার বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, “একজন (খালেদা জিয়া) এতিমের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাজাপ্রাপ্ত এবং আরেকজন (তারেক রহমান) ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলাসহ বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি।”
জাতিসংঘের ৭৬তম অধিবেশনে অংশগ্রহণ বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র সফর নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বক্তৃতা দিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বলেন, “তারা জানে তারা জিততে পারবে না। একটা দল কীভাবে জিতে? এর নেতৃত্ব কোথায়? একজন এতিমের টাকা আত্মসাত করে সাজাপ্রাপ্ত আসামি এবং আরেকজন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা ও ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে পলাতক। তারা এখনও (দলের) নেতৃত্বে। জনগণ কোন ভরসায় তাদের ভোট দেবে।”
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, “জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ (ইউএনজিএ)-এর ৭৬তম অধিবেশনে বিষয়টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনায় রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানের বিষয়ে মিয়ানমারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত থাকবে। এবারের অধিবেশনে রোহিঙ্গা সমস্যা ও এর স্থায়ী সমাধানের বিষয়টি ব্যাপকভাবে আলোচিত হয়, যা রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনে মিয়ানমারের উপর আন্তর্জাতিক চাপ অব্যাহত রাখবে বলে আমি আশা করি।”
তিনি বলেন, “৭৬তম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের সক্রিয় অংশগ্রহণ বহুপাক্ষিক ফোরামে বাংলাদেশের অবস্থান যেমন সুদৃঢ় করেছে, তেমনি বাংলাদেশের স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয়সমূহে আন্তর্জাতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রকে বিস্তৃত করবে বলে আমি আশাবাদী।”
প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নিউইয়র্কে অবস্থানকালে আমার অত্যন্ত ব্যস্ত সময় কাটে। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৬-তম অধিবেশনের মূল সভা ও সাইড ইভেন্ট মিলিয়ে আমি সর্বমোট ১০টি সভা এবং ৮টি দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে অংশ নেই। এছাড়া, ৭৬-তম অধিবেশনের সাধারণ বিতর্ক পর্বের উদ্বোধনী দিনেও আমি যোগদান করি।”
মতামত দিন