বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে মহাসড়কের দুই পাশ একাধিকবার প্রদক্ষিণ করেন নেতা কর্মীরা
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে কারণ দর্শানোর চিঠি দেওয়ার খবরে মহানগরের বিভিন্ন এলাকায় মেয়রের বহিষ্কার দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে নানা কর্মসূচী পালন করেছে বিক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।
রবিবার (৩ অক্টোবর) রাত আটটা পর্যন্ত সভা-সমাবেশ করেছেন বিক্ষোভকারীরা।
এদিন বিকেল ৪টার দিকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে টঙ্গী স্টেশন রোড এলাকায় দুই ঘণ্টা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে মহাসড়কের দুই পাশ একাধিকবার প্রদক্ষিণ করেন নেতা কর্মীরা। এছাড়া একই সময়ে গাজীপুর মহানগরের চান্দনা চৌরাস্তা এলাকায় গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি আফজাল সরকার রিপনের নেতৃত্বে আরেকটি মিছিল চৌরাস্তা এলাকা প্রদক্ষিণ করে।
বিকেল ৫টার দিকে চেরাগ আলী এলাকায় একই দাবীতে বিক্ষোভ কর্মসূচী পালিত হয়। গাজীপুরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে রবিবার বেলা ১১টার দিকে মানববন্ধন করেন সাংবাদিকেরা। সাংবাদিক মাসুদুল হকের নেতৃত্বে ওই মানববন্ধনে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সংবাদকর্মীরা অংশগ্রহণ করেন। তারা গাজীপুর প্রেসক্লাব দখলের অভিযোগ তুলে গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের বিচার দাবী করেন। সাংবাদিকদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমের হস্তক্ষেপকে দুরভিসন্ধি ও পক্ষপাতমূলক উল্লেখ করেন বক্তারা।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম
সাংবাদিক রাহিম সরকারের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য দেন অধ্যক্ষ ও প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি সাংবাদিক এনামুল হক, অধ্যাপক আমজাদ হোসেন, সৈয়দ লিটন, মাহতাব উদ্দিন প্রমুখ।
এর আগে বেলা ১১টার দিকে গাজীপুর মহানগরে মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে দলীয় শোকজের খবর ছড়িয়ে পড়ে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে তাকে আওয়ামীলীগ থেকে শোকজ করা হয়। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে তাকে শো-কজের জবাব দিতে বলা হয়।
প্রসঙ্গত, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার একটি ভিডিও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। এ নিয়ে সেপ্টেম্বরের মাসের মধ্যবর্তী সময় থেকে গাজীপুর সিটি মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলমকে নিয়ে মহানগরের বিভিন্ন মহলে আলোচনা সমালোচনা চলছিল। পরে ২৪ সেপ্টেম্বর মেয়রের পক্ষ ও বিপক্ষের লোকজন মহানগরের বোর্ডবাজার এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করে সমাবেশ করলে তা প্রকাশ্যে রূপ নেয়।
মতামত দিন