পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কার ঘটনাকে দুর্ঘটনা বা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়ে যাওয়া ভুল হবে বলে মন্তব্য করেছেন ওবায়দুল কাদের
পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার ফেরির ধাক্কার ঘটনাকে দুর্ঘটনা বা চালকের অদক্ষতা বলে এড়িয়ে যাওয়া ভুল হবে বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, “পদ্মা সেতুর পিলারে বারবার কেন ফেরির ধাক্কা? এ প্রশ্ন আমারও। এখানে কোনো ষড়যন্ত্র আছে কিনা, অন্তর্ঘাত আছে কিনা তদন্ত করে দেখতে হবে।”
শুক্রবার (১৩ আগস্ট) বিকালে পদ্মা সেতু পরিদর্শনে গিয়ে মুন্সিগঞ্জের মাওয়া প্রান্তে তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “পদ্মা সেতুর পিলারে এ নিয়ে চারবার ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। সেনাবাহিনীকে বলবো এ ব্যাপারে গভীরভাবে তদারকি করার জন্য। পদ্মা সেতু নিয়ে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে। এখনো এর পেছনে অনেক লোক লেগে আছে। দেশ-বিদেশ থেকেও লেগে আছে।”
তিনি আরও বলেন, “পদ্মা সেতু আমাদের জাতীয় সম্পদ। সেতুটি জাতীয় সম্পদ। বারবার এমন ঘটনায় মানুষ আহত হচ্ছে। এ ঘটনায় সন্ধ্যায় সভা ডাকা হয়েছে।”
এর আগে আজ সকাল পৌনে ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে শিমুলিয়া ঘাটে আসার পথে পদ্মা সেতুর ১০ নম্বর পিলারের সাথে ধাক্কা খায় “কাকলী” নামে একটি ফেরি। এ বিষয়ে ফেরিটির চালক জানান, ফেরিটি পদ্মা সেতুর ১১-১২ পিলারের মধ্য দিয়ে আসার কথা। কিন্তু নদীর প্রচণ্ড স্রোত ও বাতাসের কারনে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সেতুর ১০ নম্বর পিলারে গিয়ে ধাক্কা লাগে। এতে ফেরিটির র্যাম্পের সামান্য ক্ষতি হয়। এছাড়া আর কিছু হয়নি।
এরপর সকাল ১০টার দিকে পদ্মা সেতু এলাকা ও মাদারীপুরে মাঝিকান্দির ঘাট পরিদর্শনে যান নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। পরিদর্শন শেষে তিনি বলেন, “পদ্মা সেতুতে বার বার আঘাতের ঘটনায় আমরা খুবই বিব্রত বোধ করছি। মানুষের হৃদয়েও ক্ষত সৃষ্টি হচ্ছে। যদিও এ ধরনের ধাক্কায় সেতুর কোনো ক্ষতির আশঙ্কা নেই। তারপরও যাতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হয় সেজন্য আজ উচ্চ পর্যায়ে একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানে এ ব্যাপারে করণীয় নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, এর আগেও তিন বার বাংলাবাজার ঘাট থেকে আসার পথে পদ্মা সেতুর পিলারে আঘাত করে ফেরি। গত ২০ ও ২৩ জুলাই ১৬ ও ১৭ নম্বর পিলারে এবং ৯ আগস্ট ১০ নম্বর পিলারে আঘাত করে। এসব ঘটনায় থানায় জিডি, তদন্ত কমিটি গঠন ও ফেরিচালকদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।
মতামত দিন