এ ঘটনায় পুলিশসহ কমপক্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন
বগুড়ার কাহালুতে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় যুবলীগের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। শনিবার (৭ নভেম্বর) বেলা ৩টার দিকে স্থানীয় পৌরমঞ্চে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন চলাকালীন সময়ে এই ঘটনা ঘটে বলে নিশ্চিত করেছেন কাহালু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া লতিফুল ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, শনিবার ৩টায় স্থানীয় পৌরমঞ্চে কাহালু উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনের প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শুরু হয়। প্রথম পর্বের অনুষ্ঠান শেষে ৫টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশনে কমিটি গঠনের প্রস্তুতি শুরু হয়। অধিবেশনে কমিটি ঘোষণার আগেই হট্টগোল শুরু হয়। এক পর্যায়ে নেয়া-কর্মীদের দুই পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। এ সময় অনুষ্ঠানস্থলের চেয়ার ভাংচুর ও রেললাইন থেকে পাথর তুলে একে অপরের দিক নিক্ষেপ করেন নেতা-কর্মীরা।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মঞ্চ থেকে অতিথিদের উদ্ধার করে পৌর কার্যালয়ে নিয়ে যায় এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে লাঠিচার্জ করে। এতেও কাজ না হলে পুলিশ ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করলে দু’পক্ষের লোকজন ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সাজেদুর রহমান সাহীন অভিযোগ করেন, “কমিটি ঘোষণার আগেই উপজেলা যুবলীগের সভাপতি পি এম বেলালের নেতৃত্বে তার লোকজন হামলা চালায়। এ সময় তারা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার রহমান শান্ত ও কেন্দ্রীয় নেতা মনোয়ারুল ইসলাম বিপুলের গাড়ি ভাংচুর করে এবং বৃষ্টির মত পাথর নিক্ষেপ করে। এতে অন্তত ২০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।”
এদিকে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন যুবলীগ নেতা পি এম বেলাল। তিনি বলেন, “এটা স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই গ্রুপের বিরোধ। হামলার সময় পাথর লেগে আমি নিজেও আহত হয়েছি।”
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা জানান, রাজনৈতিক আধিপত্য বিস্তার নিয়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পৌর মেয়র হেলাল কবিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক আবদুল মান্নান গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। এতে দলের নেতা-কর্মীরা দ্বিধাবিভক্ত হয়ে পড়েছেন। হেলাল কবিরাজ তার পছন্দের নেতা আলহাজ্ব রহিমকে সভাপতি করতে চাইলে মান্নান গ্রুপের পক্ষে যুবলীগের নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালায়।
কাহালু থানার ওসি জিয়া লতিফুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের কোন্দলের কারণে স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলনে হামলা হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শটগান দিয়ে ১৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলিবর্ষণ করা হয়। বেলালের লোকজনের নিক্ষেপ করা পাথরের আঘাতে কাহালু থানার উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মাসুদ রানা আহত হয়েছেন।
মতামত দিন