স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, "আমি তো অনেক আগেই এসেছিলাম ক্যাম্পাসে। শোভন ও রাব্বানী আসতে দেরি করায়, আমি আর বেশিক্ষণ থাকতে পারছি না।"
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) শাখা ছাত্রলীগের সম্মেলন উদ্বোধন করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক শোভন-রাব্বানীর জন্য টানা দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালকে।
অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউন জানায়, ছাত্রলীগের এই দুই নেতা নিজেদের দেরি হওয়ার বিষয়টি আগে থেকে অবহিত করেননি, ফলে অনুষ্ঠানস্থলে এসে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েন সরকারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এই মন্ত্রী। শনিবার (২০ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত এ অনুষ্ঠান উদ্বোধনের জন্য বসে থাকতে হয়েছে তাকে।
এদিন জবি ছাত্রলীগের সম্মেলন শুরু হওয়ার কথা ছিল বেলা ১১টায়। প্রধান অতিথি হিসেবে দুপুর সাড়ে ১২টায় অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। রীতি অনুযায়ী কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের অনুষ্ঠানস্থলে আগেই উপস্থিত হয়ে প্রধান অতিথিকে অভ্যর্থনা জানানোর কথা। তবে আগে উপস্থিত হওয়ার বদলে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সময়মতোও আসতে পারেননি ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির এই দুই প্রধান নেতা। আবার নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্রীয় নেতাদের অনুপস্থিতিতে সম্মেলন শুরুও করতে পারে না শাখা ছাত্রলীগ। ফলে সংকটে পড়ে যান জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নেতারা। শুরু হয় শোভন-রাব্বানীকে ফোনের পর ফোন। ছাত্রলীগ সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জগন্নাথ ক্যাম্পাসে উপস্থিত হন দুপুর আড়াইটায়। সম্মেলন উদ্বোধন করার জন্য গিয়ে একারণে টানা দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।
জানা গেছে, এই পুরো সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মীজানুর রহমানের সঙ্গে উপাচার্যের সম্মেলন কক্ষে বসেছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এসময় তার সঙ্গে ছিলেন জবির সাবেক সভাপতি এসএম শরিফুল ইসলাম, জবির সাবেক সভাপতি কামরুল হাসান রিপন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক গাজী আবু সাঈদসহ ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহে আলম মুরাদ।
পরে অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যের শুরুতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেন, "আমি তো অনেক আগেই এসেছিলাম ক্যাম্পাসে। শোভন ও রাব্বানী আসতে দেরি করায়, আমি আর বেশিক্ষণ থাকতে পারছি না।"
পরে ছাত্রলীগের পদপ্রত্যাশীদের শুভ কামনা জানিয়ে বিদায় নেন মন্ত্রী।
এদিকে, সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ও দলীয় সিনিয়র নেতাকে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রণ করে এভাবে বসিয়ে রাখা এবং ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের অনুষ্ঠানস্থলে সময়মতো না আসাকে বেয়াদবি হিসেবেই দেখছেন সম্মেলনে আসা আওয়ামী লীগ ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তারা।
তবে সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আশরাফুল টিটন একটা ব্যাখ্যা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। তিনি জানান, সাধারণ সম্পাদকের (গোলাম রাব্বানী) মায়ের মৃত্যুবার্ষিকীতে সভাপতিও গিয়েছিলেন। তাদের সেখান থেকে ফিরতে দেরি হয়েছে।
পরে এবিষয়ে ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন-রাব্বানীর সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তারা ফোন ধরেননি।
মতামত দিন