নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে আওয়ামী লীগ নেতা মোশারফ হোসেন মুসার মাথা ফাটিয়ে দেন থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের লোকজন
আওয়ামী লীগ নেতাকে মারধেরর অভিযোগে ঢাকার আশুলিয়ায় এক যুবলীগ নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। আটক সুমন পন্ডিত আশুলিয়ার পাথালিয়া ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক। শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় আশুলিয়ার নয়ারহাট এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
জানা গেছে, এদিন দুপুরে আশুলিয়ার ঘোষবাগ এলাকায় সাভারের আওয়ামী লীগ প্রার্থী ডা. এনামুর রহমানের নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোশারফ হোসেন মুসাকে পিটিয়ে মাথা ফাটিয়ে দেন থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের লোকজন ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে আশুলিয়া থানার (ওসি তদন্ত) জাবেদ মাসুদ বলেন, এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত লিখিত অভিযোগ না পেলেও মৌখিক অভিযোগের ভিত্তিতে সুমন পন্ডিত নামের একজনকে আটক করা হয়েছে । এছাড়াও ঘটনার সাথে জড়িতদের অন্যান্যদের আটক করতে অভিযান চলছে বলেও তিনি জানান।
তবে এ বিষয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমান বলেন, হামলা নয় তাদের মধ্যে সামান্য হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে আশুলিয়ার সরকার মার্কেট এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালাচ্ছিলেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী ও বর্তমান সাংসদ ডা. এনামুর রহমান। এসময় তার সাথে আশুলিয়ার যুবলীগ ও আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অংশ নেন। দুপুর ১২টার দিকে সরকার মার্কেট এলাকায় আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের লোকজনের সাথে ইয়ারপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মোশারফ হোসেন মুসার লোকজনের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে সেখান থেকে দুপুর দুইটার দিকে প্রচারণা শেষে ঘোষবাগের উদ্দেশ্যে রওনা দেন নেতাকর্মীরা। ঘোষবাগ এলাকায় পৌঁছালে আগে থেকেই ওত পেতে থাকা যুবলীগ নেতা কবির সরকারের লোকজন তার ওপর হামলা চালায়। হামলায় মাথায় আঘাত পান তিনি। এ ঘটনায় আনোয়ার নামের আরো এক ব্যক্তি আহত হয়। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে উত্তরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহত মোশারফ হোসেন মুসার ভাই আমজাদ দেওয়ান অভিযোগ করে বলেন, তার ভাইয়ের সাথে কবির সরকারের লোকজনের আগে থেকে বিরোধ চলে আসছিল। এ কারণে পরিকল্পিতভাবে তার ওপর হামলা করা হয়।
তবে আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তার লোকজন এ হামলা চালায় নি। তার নামে মিথ্যে কথা বলা হয়েছে।
ঢাকা জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক জি এস মিজান বলেন, কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ পাওয়া গেলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মতামত দিন