ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গরুদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও শুরু করে ফেলেছে। এই প্রশিক্ষণের নাম 'মোলো ট্রেইনিং' দিয়েছেন তারা
পরিবেশ বাঁচাতে বিশ্বব্যাপী নানা ধরনের গবেষণা ও সমীক্ষা চালাচ্ছে বিজ্ঞানীরা। কীভাবে পৃথিবীকে রক্ষা করা যায় সে চিন্তা থেকেই দিনরাত উপায় খুঁজছেন তারা।
কখনও বা সমাধান পাচ্ছেন কখনও পাচ্ছেন না। তবে এবার জার্মানির ইনস্টিটিউট ফর ফার্ম অ্যানিমেল বায়োলজি (এফবিএন) ও ফ্রেডরিখ লোফলার ইনস্টিটিউট (এফএলআই) এবং নিউজিল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব অকল্যান্ডের একদল বিজ্ঞানী জানালেন পরিবেশ রক্ষার অনেকটাই হয়ে যাবে যদি গরুকে শৌচাগার বা টয়লেট ব্যবহার করা শেখানো যায়।
সিএনএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, গরুর বর্জ্যে উচ্চ হারে পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর অ্যামোনিয়া পাওয়া যায়। তাই গরুকে নির্দিষ্ট স্থানে মলত্যাগের অভ্যাস করানো হলে পরিবেশও রক্ষা করা হবে।
এদিকে, ইতোমধ্যে বিজ্ঞানীরা এ বিষয়ে গরুদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও শুরু করে ফেলেছে। এই প্রশিক্ষণের নাম “মোলো ট্রেইনিং” দিয়েছেন তারা।
সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) জীববিজ্ঞানবিষয়ক সাময়িকী “কারেন্ট বায়োলজি”তে প্রকাশিত ওই গবেষণা প্রবন্ধে এফবিএন-এর প্রাণী মনোবিজ্ঞানী জ্যান লংবেইন বলেন, “যদিও গবাদিপশুরা মলত্যাগের বিষয়টি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না, তাও বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের অভ্যাস করানো সম্ভব। প্রাণীরা অনেক বুদ্ধিমান, তাই তাদের পক্ষে শেখাটা সহজও হতে পারে।”
জানা গেছে, শৌচাগার ব্যবহারের বিষয়টি রপ্ত করানোর জন্য গরুটিকে সঠিক স্থানে মলত্যাগের পর পুরস্কার হিসেবে চিনিমিশ্রিত পানি অথবা ভাঙা বার্লি খেতে দেওয়া হয়।
এফবিএনের গবেষক নিল ডার্কসেন জানান, কোথাও নিয়ে যাওয়ার আগে গরুটিকে শৌচাগারে নেওয়া হয়, যেন সেখানে বর্জ্য ত্যাগ করতে পারে।
উল্লেখ্য, একটি গরু দৈনিক গড়ে ৩০ থেকে ৪০ কেজি মলত্যাগ এবং ৮ গ্যালন প্রস্রাব করে থাকে। এই বর্জ্য মাটিতে মিশে নাইট্রাস অক্সাইডে পরিনত হয়। যা এক ধরনের গ্রিনহাউস গ্যাস।
মতামত দিন