২০০২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতি বছর ৬০ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে তারা
প্রান্তিক অঞ্চলের মানুষের জন্য সুবিচার নিশ্চিতে “অনলাইন আইনি তথ্য ও সেবা কেন্দ্র” চালু করেছে উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা “ফ্রেন্ডশিপ”।
বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) কুড়িগ্রামের চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত ভবনে সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এবং কুড়িগ্রাম জেলা লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান মো. আব্দুল মান্নান।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, গণমানুষের জন্য আদালতে আইনি সেবা এবং সুবিচার প্রাপ্তি সহজ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে সরকার। তাই ফ্রেন্ডশিপের এই উদ্যোগ আইনি সেবা প্রদানের ক্ষেত্রে আরও বেশি উপকারী হবে।
কুড়িগ্রামে অনলাইন আইনি তথ্য ও সেবা কেন্দ্র চালু হওয়ায় প্রান্তিক ও সুবিধা বঞ্চিতদের আইনগত অধিকার নিশ্চিত করা যাবে বলে আশা করেন তিনি।
আদালতে আইনি সেবা প্রাপ্তিতে ফ্রেন্ডশিপের এমন উদ্যোগের প্রশংসা করেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা’র এই পরিচালক।
অনলাইনে অনুষ্ঠিত এ উদ্বোধনী আলোচনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন ফ্রেন্ডশিপ’র প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক রুনা খান।
তিনি জানান, ব্রহ্মপুত্র নদের মাধ্যমে মূল ভূ-খণ্ড থেকে বিচ্ছিন্ন কুড়িগ্রামের রৌমারী, রাজিবপুর এবং চিলমারী উপজেলাধীন চরের কয়েক লাখ জনগোষ্ঠীর পক্ষে জেলা আদালতে এসে আইনি সেবা নেওয়া খুবই কঠিন। প্রায় সবগুলো চরেই লিগ্যাল বুথ স্থাপনের মাধ্যেমে অনেক আগে থেকেই আইনি সেবা দিয়ে আসছিল ফ্রেন্ডশিপ।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থার পরিচালক এবং সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. সাইফুল ইসলাম।
অনুষ্ঠানে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল বিচারক এবং জেলা ও দায়রা জজ আমলান কুসুম জিসনু, কুড়িগ্রাম চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর কবির শিপন, কুড়িগ্রাম পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা লিগ্যাল এইড কর্মকর্তা এবং সিনিয়র সহকারী জজ মো. কুদরত-ই-খুদা এবং আইন সংশ্লিষ্ট বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালে যাত্রা শুরুর পর থেকে প্রতি বছর ৬০ লাখ মানুষকে সহযোগিতা করে আসছে ফ্রেন্ডশিপ। প্রত্যন্ত এলাকার পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার জনগোষ্ঠিগুলোকে স্বাবলম্বী করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ফ্রেন্ডশিপ। এক্ষেত্রে দেশে এবং দেশের বাইরে সফলতার মডেল হিসেবে স্বীকৃতিও পেয়েছে তারা। বর্তমানে বাংলাদেশে এই সংস্থার তিন হাজারেরও বেশি কর্মী কাজ করেন। ফ্রেন্ডশিপে কর্মরত ৫০% জনশক্তিই এসেছেন স্থানীয়দের মাধ্যমে।
মতামত দিন