ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী লিডাররা যৌথভাবে কাজ করছেন নারীদের সহয়তার জন্য। তাদের তত্ত্বাবধানে বিদেশি প্রশিক্ষকদের পাশাপাশি ইউল্যাবের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাদিয়া রহমানও কাজ করছেন
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে গত ২৪ মার্চ থেকে শুরু হয় সরকার ঘোষিত সাধারণ ছুটি। তার পর থেকে বাংলাদেশের ২৭টি জেলায় শুধু এপ্রিলেই প্রায় ৪ হাজার ২৪৯ নারী এবং ৪৫৬ শিশু পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছে বলে উঠে এসেছে “মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন”এর একটি গবেষণায়।
গবেষণায় দেখা যায়, ওই নারীদের মধ্যে ৮৪৮ জন শারীরিকভাবে, ২ হাজার ৮ জন মানসিকভাবে, ৮৫ জনের বেশি যৌন নির্যাতন এবং ১ হাজার ৩০৮ জন আর্থিক অসচ্ছলতার জন্য নির্যাতনের শিকার হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নারীদের প্রতি সহিংসতা রুখতে অলাভজনক প্রতিষ্ঠান ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি বাংলাদেশের সদস্যরা ১১ মে হতে তাদের প্রজেক্ট “মাই সিস্টার্স কিপার”এর মাধ্যমে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রাথমিক অবস্থায় তারা অনলাইনেই এই প্রজেক্টের কাজ শুরু করেছেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির ফর দ্য ফিউচার অব উইমেন শিক্ষার্থীদের লিডারশিপ ডেভলপমেন্ট এবং আত্মনির্ভরশীল করতে কাজ করে। আর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব) বরাবরই নারী ও শিশুর অধিকার, উন্নয়ন, আত্মনির্ভরশীলতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করছে।
এর জের ধরে ২০১৮ সালের অক্টোবরে ইউল্যাবের সঙ্গে যৌথভাবে ১০০ জন তরুণী নিয়ে বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করেন ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমি। ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠানটির দ্বিতীয় বছরের ট্রেনিং চলছে ইউল্যাবে। বর্তমানে তারা অনলাইনে এই ট্রেনিংটি করছেন।
ওয়ার্ল্ড অ্যাকাডেমির প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থী লিডাররা যৌথভাবে কাজ করছেন নারীদের সহয়তার জন্য। তাদের তত্ত্বাবধানে বিদেশি প্রশিক্ষকদের পাশাপাশি ইউল্যাবের ইংরেজি সাহিত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক নাদিয়া রহমানও কাজ করছেন।
তারা ইতিমধ্যে সোশ্যাল মিডিয়াতে সচেতনতা গড়ে তোলার পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে অসহায় নারীদের কাউন্সেলিং, নির্যাতনের ধরন সম্পর্কিত জ্ঞান, সহিংসতা প্রতিরোধ করতে আওয়াজ তোলা, নারী অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, নারী এবং শিশু নির্যাতনের জন্য ন্যাশলনাল ইমার্জেন্সি নাম্বার ১০৯’এর ব্যবহার ও আইনী সহয়তার জন্য কাজ করছেন।
নারী ও শিশুদের নিরাপদ আশ্রয়স্থলের জন্য তারা রোকেয়া সদন, কে.এন.এইচ. আহসানিয়া সেন্টার ফর এ্যবেন্ডান চিলড্রেন অ্যান্ড ডেস্টিটিউট উইমেন, বন্ধু ফাউন্ডেশনসহ আরও বিভিন্ন দেশি ও বিদেশি মানবাধিকার সংস্থার সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছেন। ওয়ার্ল্ড একাডেমির “মাই সিস্টার্স কিপার” প্রজেক্টের মূল উদেশ্য নারী ও শিশুর প্রতি সহনশীলতা রোধের পাশাপাশি একটি সমধিকারের বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
মতামত দিন