বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বানরের কামড়কে “দ্বিতীয় বিপজ্জনক” কামড় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, বানর কি শুধুই কামড় দেয়? নাকি আরও ভয়ংকর কিছু করতে পারে
চিড়িয়াখানায় গেলে সবাই অন্তত একবার হলেও বানরের খাঁচার সামনে থেকে ঘুরে আসেন। তবে এই বানর সম্পর্কে জানার পর হয়ত আপনি সাবধান হবেন এবং পরবর্তীতে বানরের খাঁচার সামনে আরও সতর্ক থাকবেন। জার্মানির একটি চিড়িয়াখানায় বানরের খাঁচার সামনে দর্শনার্থীদের জন্য টাঙিয়ে রাখা হয়েছে বিশেষ সতর্কবার্তা। বলা হয়েছে বানরের খাঁচা থেকে দূরত্ব বজায় রাখতে। তবে অনেকেই নির্দেশনা না মেনে এগিয়ে গিয়ে বানরের অদ্ভুত মুখভঙ্গি উপভোগ করতে যান।
কিন্তু বানরের আক্রমণ হতে পারে প্রাণঘাতী। তাই বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বানরের কামড়কে “দ্বিতীয় বিপজ্জনক” কামড় হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, বানর কি শুধুই কামড় দেয়? নাকি আরও ভয়ংকর কিছু করতে পারে?
২০০৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষের জন্য বিভীষিকায় পরিণত হয়েছিল মারুডিং বেবুন নামের একদল বানর জাতীয় প্রাণী। ২৯টি বেবুনের এই দল ৪টি গাড়িকে অবরুদ্ধ করে দিয়েছিল। রীতিমতো তাণ্ডব চালিয়ে চুরি করেছিল খাবার। এই দলের নেতা ছিল “ফ্রেড”। সে ছিল বেশ ভয়ংকর স্বভাবের। ফ্রেড জানতো কীভাবে গাড়ির দরজা কিংবা ব্যাগের চেইন খুলতে হয়। যেকোনো বাড়িতেও সে ঢুকে পড়তে পারত অনায়াসে।
দেশটির একজন পশুচিকিৎসকের মতে, “ফ্রেড সিংহের মতো কামড়াতে পারত, চিতার মত দৌড়াতে পারত আর নেতৃত্ব দিতে পারত যে কোনো সম্রাটের মতো।” তাকে পাকড়াওয়ের পর এক্স-রে করে পাওয়া গিয়েছিল ৫০টি গুলির চিহ্ন। যদিও সে গুলিতে মরেনি। শেষ পর্যন্ত তাকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে হত্যা করা হয়েছিল।
এছাড়া, আরও এক দল বানরের খোঁজ পাওয়া গেছে যারা নিঃশব্দে মানুষের ক্ষতি করে। “মেকাকস” নামে এক ধরনের বানর হারপিস বি নামের রোগ ছড়ায়। ১৯৩২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত এরকম ৫০ জন মানুষের খবর পাওয়া গেছে এর মধ্যে ২১ জন মারা গেছে এই রোগে। ১৯৯৭ সালে একজন বিশেষজ্ঞ মৃত্যুবরণ করেন এই রোগে। একটি “মেকাকস” এর সংস্পর্শে এসে তার এই রোগ হয়েছিল।
মতামত দিন