তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি
জাপানের রাজধানী টোকিও এবং আশেপাশের এলাকায় ভূকম্পন অনুভূত হয়েছে। রিখটার স্কেলে যার মাত্রা ৬.১। তবে কোনো সুনামির আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।
বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) স্থানীয় সময় রাতে এ ভূকম্পন অনুভূত হয় বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভি।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে টোকিওর ভবনগুলো কেঁপে ওঠে। এ সময় স্থানীয় বাসিন্দাদের ফোনে জরুরি সতর্কবার্তা আসে এবং তাদের নিরাপদ আশ্রয় সরে যেতে বলা হয়।
জেএমএর প্রাথমিক তথ্যনুসারে, টোকিওর পূর্বে চিবা প্রিফেকচার থেকে ৮০ কিলোমিটার গভীরে ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল ছিল। স্থানীয় সময় রাতে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে। তাৎক্ষণিকভাবে হতাহত কিংবা ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটি ৬১ কিলোমিটার গভীরতাসহ মাত্রা ৫.৯ মাত্রার ছিল।
ভূমিকম্পের পর সতর্কতা হিসেবে কিছু বুলেট এবং লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু টোকিও ও আশেপাশের স্থান থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে এর কোনো গুরুতর প্রভাব দেখা যায়নি।
আঞ্চলিক পারমাণবিক কেন্দ্রগুলোতেও পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছিল, কিন্তু অস্বাভাবিকতার কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্প আঘাত হানার পর টোকিওর কয়েকশ বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল বলে জানা গেছে।
টোকিওতে সাম্প্রতিক সময়ের ভূমিকম্পগুলোর তুলনায় এ ভূমিকম্পটি তুলনামূলকভাবে শক্তিশালী ছিল।
নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা একটি টুইটে বাসিন্দাদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, “দয়া করে সর্বশেষ তথ্য যাচাই করে সময় এবং জীবন বাঁচাতে পদক্ষেপ নিন।”
জাপান প্রশান্ত মহাসাগরীয় “রিং অব ফায়ার”-এ অবস্থিত এর কারণে দেশটি নিয়মিত ভূমিকম্পের শিকার হয়। জাপানের ভবনগুলো শক্তিশালী কম্পন সহ্য করতে পারে সেটি নিশ্চিত করার জন্য কঠোর নির্মাণ বিধি রয়েছে।
মতামত দিন