স্যান্ডবক্স স্কিমের মাধ্যমে কোয়ারেন্টিন ছাড়াই পর্যটকদের ভ্রমণের সুযোগ দিচ্ছে থাইল্যান্ড
বিশ্বের যেকোনো দেশের ভ্রমণকারীরা এখন থাইল্যান্ডের দর্শনীয় দ্বীপ ফুকেট এবং অন্যান্য প্রদেশে ভ্রমণের জন্য দেশটির “স্যান্ডবক্স স্কিম”-এর মাধ্যমে অংশ নিতে পারবে বলে জানিয়েছে দেশটির পর্যটন কর্তৃপক্ষ (টিএটি)।
রবিবার (৩ অক্টোবর) ব্যাংকক পোস্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, স্যান্ডবক্স স্কিমে অংশগ্রহণের জন্য পর্যটকদের অবশ্যই করোনাভাইরাসের সম্পূর্ণ টিকা গ্রহণ করতে হবে।
ফুকেট স্যান্ডবক্স স্কিমটি মূলত থাইল্যান্ড পর্যটন কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবিত পরিকল্পনা। যার মাধ্যমে টিকা নেওয়া পর্যটকদেরকে এখন আর সেখানে কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে না।
টিএটি-র এই ঘোষণাটি মূলত পর্যটনশিল্পকে পুনরুজ্জীবিত করার জন্যই দেওয়া হয়েছে।
এর আগে, থাইল্যান্ড কর্তৃপক্ষ টিকা নিয়ে আসা ভ্রমণকারীদের জন্য বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনের সময়সীমা অর্ধেক করে দিয়েছিল।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আগে ঝুঁকিপূর্ণ ৮০টি দেশের তালিকা অনুসরণ করলেও এখন আর তা করা হবে না। এর অর্থ থাইল্যান্ড এখন বিশ্বের যেকোনো দেশ থেকে ভ্রমণকারীদের “স্যান্ডবক্স প্রোগ্রাম”-এ স্বাগত জানাচ্ছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র তানি সাংগ্রাত বলেন, “টিকা নেয়নি এমন শিশুরা তাদের বাবা-মায়ের সঙ্গে ভ্রমণ করতে পারবে যদি বাবা-মায়ের টিকা দেওয়া থাকে।”
১ জুলাই থেকে শুরু হওয়া স্যান্ডবক্স প্রোগ্রামটি ইতোমধ্যে ৩৮ হাজারেরও বেশি ভ্রমণকারীকে আকৃষ্ট করেছে এবং আনুমানিক ২৩০ কোটি থাই বাত (প্রায় ৬৩৪ কোটি বাংলাদেশি টাকা) রাজস্ব আয় করেছে।
টিএটি আরও বলেছে, পুরোপুরি টিকা দেওয়া পর্যটকরা ফুকেটে অবতরণের পর সরাসরি ফাঙ্গা এবং ক্রাবির নির্দিষ্ট এলাকায় ভ্রমণ করতে পারবেন এবং সেখানে সাত দিন থাকতে পারেন।
তবে, ফুকেটের ৯০% বন্ধ হোটেল নিয়ে পর্যটন অপারেটররা ফুকেটে অর্থনীতির পুনরুদ্ধারের সম্ভাবনা সম্পর্কে এখনও হতাশ।
ভ্রমণকারীর সংখ্যা বাড়াতে তারা কোভিড-১৯-এর নমুনা পরীক্ষায় উচ্চ খরচ কমিয়ে, পর্যটকদের দেশে প্রবেশের প্রয়োজনীয়তা সহজ করার জন্য সরকারের কাছে আবেদন জানিয়েছে।
ব্যাংকক, চিয়াং মাই, চোন বুড়ি (পাতায়া), ফেচাবুড়ি (চা-আম), এবং প্রচুয়াপ খিরি খান (হুয়া হিন) থেকে শুরু করে আরও অনেক পর্যটন কেন্দ্র ১ নভেম্বর থেকে খোলার পরিকল্পনার প্রথম ধাপ হল স্যান্ডবক্স প্রোগ্রাম।
উল্লেখ্য, ব্রিটেন এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এখনও ভ্রমণের ওপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে, দেশগুলো এখনও করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে।
মতামত দিন