মিঙ্ক এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রাণী যা মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম
করোনাভাইরাস প্রতিরোধক পরীক্ষামূলক টিকার জন্যে কর্তৃপক্ষ কর্তৃক অস্থায়ী অনুমোদনের পর পশম খামারে মিঙ্কদের টিকা প্রদান শুরু করতে যাচ্ছে ফিনল্যান্ড।
শুক্রবার (১ অক্টোবর) দেশটির নিয়ন্ত্রক এ কথা জানায়।
পশু চিকিৎসা কার্যক্রম তত্ত্বাবধানকারী ফিনিশ খাদ্য কর্তৃপক্ষের সিনিয়র পরিদর্শক লিসা কার্তিনেন বলেন, ডিসেম্বরের শেষ পর্যন্ত শর্তসাপেক্ষে ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এই সময়ের মধ্যে আবেদনকারীকে আরও তথ্য-উপাত্ত জানাতে হবে।
অন্য কোনো ভ্যাকসিন না পাওয়া গেলে মহামারির সময়ে এই ধরনের শর্তসাপেক্ষ অনুমতি দেওয়া যেতে পারে।
প্রধানত পশমের জন্য প্রজনন করা মিঙ্কগুলো করোনাভাইরাস সংক্রমণের বিশেষ ঝুঁকিতে রয়েছে।
হেলসিঙ্কি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের সঙ্গে মিলে টিকা তৈরি করা ফিনিশ ফার ব্রিডারস অ্যাসোসিয়েশনের গবেষণা পরিচালক জুসি পিউরা বলেন, “আমরা এখন পর্যন্ত প্রায় ৫ লাখ ডোজ তৈরি করেছি। সবগুলো মিঙ্ককে দুবার টিকা দেওয়ার জন্য যা যথেষ্ট হওয়ার কথা।”
তবে এখনও ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল না হওয়ায় টিকাটি বাণিজ্যিকভাবে বিতরণ করা যাবে না। আপাতত করোনাভাইরাসের বিস্তার পর্যবেক্ষণ এবং প্রতিরোধের জন্য ফিনল্যান্ডের এক হাজার পশু খামারে কঠোরভাবে এই টিকা ব্যবহার করা হবে।
এখন পর্যন্ত মিন্কদের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত করা যায়নি। তাছাড়া, ফিনল্যান্ডের মানুষদের মধ্যে কোভিড সংক্রমণের হার ইউরোপীয় ইউনিয়নে সর্বনিম্ন। তাই শুধুমাত্র ফিনল্যান্ডেই এই টিকার অনুমোদন প্রযোজ্য।
ব্রিডার্স অ্যাসোসিয়েশনের বিশ্বাস, ইউরোপীয় ইউনিয়নে প্রথমবারের মতো এ ধরনের টিকা অনুমোদন পেয়েছে।
মার্চে দেশটির প্রতিবেশী রাশিয়া জানিয়েছিল, তারাই বিশ্বের মধ্যে সর্বপ্রথম করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে প্রাণী ভ্যাকসিনের নিবন্ধিত করেছে। এই টিকা আগে কুকুর, বিড়াল, মিঙ্ক এবং শিয়ালের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল বলে জানায় তারা।
মিঙ্ক এখন পর্যন্ত একমাত্র প্রাণী যা মানুষের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়াতে সক্ষম।
গত বছরের নভেম্বরে প্রাণীটির ইউরোপের সবচেয়ে বড় রপ্তানিকারক ডেনমার্কে ফার্মের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের পরিবর্তিত রূপ ছড়িয়ে পড়ে। পরবর্তীতে দেশের প্রায় দেড় কোটি মিঙ্ককে হত্যা করা হয়। ফলে দেশটির পশম শিল্প ক্ষতির মুখে পড়ে।
মতামত দিন