মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাকে এমএলএ হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে
ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মুর্শিদাবাদ, জঙ্গিপুর এবং সমশেরগঞ্জের ভবানীপুর আসনের উপনির্বাচনে ভোটাররা ভোট দিয়েছেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পদে থাকবেন কি না তা নির্ধারণ করবে এ নির্বাচন।
বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় শুরু হয়ে এ ভোট গ্রহণ চলে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা পর্যন্ত। বিপুল সংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। বিকাল ৫টা পর্যন্ত (স্থানীয় সময়) ভবানীপুরে ৫৩.৩২% ভোটার, মশেরগঞ্জে ৭৮.৬০% এবং জঙ্গিপুরে ৭৬.১২% ভোটার উপস্থিত ছিল।
বার্তা সংস্থা এএনআই জানিয়েছে, তৃণমূল কংগ্রেস বা টিএমসির প্রধান মমতা নিজেও ভবানীপুর আসনের জন্য দলীয় টিকিট নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকতে হলে নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে তাকে এমএলএ হিসেবে নির্বাচিত হতে হবে।
চলতি বছরের শুরুর দিকে অনুষ্ঠিত পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে মমতা নন্দীগ্রাম থেকে তার সাবেক সহযোগী সুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। নির্বাচনের আগে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টি থেকে সরে এসেছিলেন। মমতা নন্দীগ্রাম অধিকারীর কাছে ১ হাজার ৯৫৬ ভোটে পরাজিত হয়েছিলেন।
ভবানীপুরে বিজেপি প্রার্থী করেছে আইনজীবী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল ও সিপিএমের প্রার্থী শ্রীজীব বিশ্বাস মমতার বিরুদ্ধে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, উপনির্বাচনে তিন লাখেরও বেশি মানুষ ভোট দেওয়ার যোগ্য। ভোট গণনা হবে ৩ অক্টোবর।
এদিকে বিজেপির প্রার্থী প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল অভিযোগ করেছেন, তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক মদন মিত্র ভবানীপুরের একটি বুথ দখল করতে চেয়েছিলেন এবং সেখানে ইচ্ছাকৃতভাবে ভোট মেশিন বন্ধ করে দিয়েছিলেন।
প্রিয়ঙ্কা টিবরেওয়াল বলেন, “আমরা সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা করছি। নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমি আজ এলাকার ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন করব। রাজ্য সরকার এই মুহূর্তে ভয়ে আছে।”
তৃণমূল কংগ্রেস তাদেরকে ভোট দেওয়ার জন্য কিছু লোককে অর্থ দিয়েছে অভিযোগ করে বলেন, “একজন লোক আমার কাছে স্বীকার করেছে যে টিএমসি তাকে ভোট দেওয়ার জন্য ৫০০ রুপি দিয়েছে।”
প্রসঙ্গত, নির্বাচন উপলক্ষে ভবানীপুর আসনে নির্বাচন কমিশন নিরাপত্তা জোরদার করেছে। নিয়োগ করা হয়েছে ৩৫ কোম্পানি কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনী।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে ভবানীপুর বিধানসভা আসনের এলাকাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বুথের ২০০ মিটারের মধ্যে ৫ জনের বেশি মানুষকে জমায়েত না হতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ২৬টি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দক্ষিণ কলকাতার এই কেন্দ্রই ঠিক করে দেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যমন্ত্রীত্বের ভবিষ্যৎ। ১০ বছর আগে এই বিধানসভা কেন্দ্র থেকেই জিতে প্রথমবার বিধানসভায় গিয়েছিলেন মমতা।
মতামত দিন