মামলায় যাদের নাম রয়েছে তারা জামিন পাওয়ায় দিল্লি পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম সমালোচনার মুখে পড়ে
গত বছর দিল্লিতে একটি দাঙ্গা সংক্রান্ত মামলায় হাজির হতে ব্যর্থ হওয়ায় এক পুলিশ কর্মকর্তাকে বিভাগীর জেরার আদেশ দিয়েছেন ভারতের একটি আদালত। এছাড়া সিটি পুলিশ কমিশনারকে ওই কর্মকর্তার বেতন থেকে ৫০ হাজার টাকা কেটে নেওয়ারও আদেশ দেন আদালত।
ভারতীয় গণমাধ্যম লাইভ ল’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, বারবার আদেশ দেওয়ার পরেও তিনি আদালতে হাজির হননি। এমনকি ওই কর্মকর্তা মামলা মুলতবিও করতে চেয়েছেন।
২০২০ সালের ২৩ থেকে ২৬ ফেব্রুয়ারি মাসে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের সমর্থকদের সঙ্গে বিরোধীদের সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫৩ জন নিহত এবং কয়েক শত মানুষ আহত হয়েছিল। নিহতদের অধিকাংশই মুসলিম ছিলেন।
এদিকে, এই মামলায় যাদের নাম রয়েছে তারা জামিন পাওয়ায় দিল্লি পুলিশের তদন্ত কার্যক্রম সমালোচনার মুখে পড়ে।
এ বছরের ২৫ সেপ্টেম্বর প্রধান মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরুণ কুমার গর্গ পর্যবেক্ষণে বলেছিলেন, বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর এবং তদন্ত কর্মকর্তারা নির্ধারিত তারিখে শুনানির জন্য উপস্থিত হন না এবং যখন তারা “ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের চাপে পড়ে তখনই কেবল আদালতে আসেন।”
বিচারক আরও বলেন, “কর্মকর্তারা মামলার নথি পরিদর্শন না করেই আসেন এবং কর্মকর্তারা মামলাটি ‘খুব ক্যাজুয়ালি’ স্থগিতের আবেদন করেন।”
এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সম্পর্কিত মামলা পরিচালনার ক্ষেত্রে তাদের “ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতির” জন্য পুলিশকে অভিযুক্ত করেন গর্গ।
তিনি তদন্ত কর্মকর্তাকে কোমল মিশ্র নামে এক অভিযুক্তের “ই-চালানের” একটি অনুলিপি সরবরাহ করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তদন্ত কর্মকর্তা এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালতকে বলেছিলেন, মিশ্রকে ১২ এপ্রিলের আদেশ সম্পর্কে না জানানোয় দলিলটি দেওয়া হয়নি এবং মামলায় একটি স্থগিতাদেশ যেন দেওয়া হয়।
পুলিশের এবং এসপিপি (বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর)-এর পূর্বোক্ত আচরণ ইতোমধ্যেই এসএইচও’স (স্টেশন হাউস অফিসার), এসিপি’স (সহকারী পুলিশ কমিশনার), ডিসিপি (পুলিশের ডেপুটি কমিশনার)-সহ ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের নজরে আনা হয়েছে বলে জানা গেছে।
মতামত দিন