‘তাদের বাবা লিউ চ্যাংমিং দেশের ১০০ জন মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকদের মধ্যে একজন, যার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি চীন থেকে পালিয়ে যান’
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সিনথিয়া এবং ভিক্টর লিউ তাদের মায়ের সঙ্গে তিন বছর আগে অর্থাৎ ২০১৮ সালে চীন ভ্রমণে এসেছিলেন। ভ্রমণে এসেই “অর্থনৈতিক অপরাধ”-এর অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়ায় তাদের চীন ত্যাগ নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। অবশেষে এই দুই ভাইবোনকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দিয়েছে দেশটি।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) মার্কিন সিনেটর এডওয়ার্ড মার্কি এবং এলিজাবেথ ওয়ারেন এক বিবৃতিতে বলেছেন সিনথিয়া এবং ভিক্টর লিউ চীনে তিনটি কঠিন বছর পার করে দেশে ফিরে এসেছেন। এছাড়া তাদের মা সান্দ্রা হানও (মার্কিন নাগরিক) চীনে আটক ছিলেন।
সিনেটররা বলেছেন, তারা এই তিনজনের মুক্তি নিশ্চিত করতে মার্কিন সরকারের সঙ্গেও কাজ করেছেন।
প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে তারা তিনজন আত্মীয়র সঙ্গে দেখা করতে চীন ভ্রমণে গিয়েছিলেন। সিনথিয়া ছিলেন ২৭ বছর বয়সী চাকরিজীবী এবং তার ভাই ভিক্টর ছিলেন ১৯ বছর বয়সী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র।
এর কয়েকদিন পরে, তাদের মাকে চীনা কর্মকর্তারা আটক করে একটি গোপন ডিটেনশন সেন্টারের “কালো কারাগারে” নিয়ে যায়।
সেই সময় চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছিল, তাদের তিনজনেরই নথিপত্র রয়েছে যা থেকে বোঝা যায় তারা চীনা নাগরিক এবং “অর্থনৈতিক অপরাধ” করেছে বলে সন্দেহ করা হয়েছে।
কিন্তু দুই ভাইবোন সেসময় নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছিল, তাদের বাবাকে ফৌজদারি জালিয়াতির অভিযোগের মুখোমুখি করতে চীনে ফিরিয়ে আনতে চীনা কর্তৃপক্ষ তাদেরকে ব্যবহার করেছে। যদিও তিনি ২০১২ সালেই পরিবারের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছিলেন বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম চায়না ডেইলির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তাদের বাবা লিউ চ্যাংমিং দেশের ১০০ জন মোস্ট ওয়ান্টেড পলাতকদের মধ্যে একজন, যাদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। ২০০৭ সালে তিনি চীন থেকে পালিয়ে যান।
নিউইয়র্ক টাইমসের মতে, তাদের মা হান, কোটি কোটি ডলার বিনিয়োগকারী রিয়েল এস্টেট হোল্ডিংয়ের ব্যবসায়ী।
মতামত দিন