এই আইনের বিরোধিতা করে কৃষকরা ১০ মাস ধরে রাজধানী নয়াদিল্লির আশপাশের প্রধান মহাসড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে
বিতর্কিত কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে দেশজুড়ে “ভারত বনধ” পালন করেছে ভারতের কৃষি সংগঠনগুলো। ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারের করা তিনটি কৃষি আইন এই খাতকে বেসরকারি কোম্পানিগুলোর নিয়ন্ত্রণাধীন করে ফেলবে বলে অভিযোগ কৃষকদের।
কৃষিখাত উদারীকরণের লক্ষ্যে ওই আইনগুলো করার এক বছর পর সোমবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দেশজুড়ে “বনধ” এর ডাক দেয় কৃষি সংগঠনগুলো।
এই আইনের বিরোধিতা করে কৃষকরা ১০ মাস ধরে রাজধানী নয়াদিল্লির আশপাশের প্রধান মহাসড়কগুলোতে অবস্থান নিয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে।যা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী সরকারের বিরুদ্ধে চলমান সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি প্রতিবাদ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলো থেকে জানা গেছে, ৪০টিরও বেশি কৃষি ইউনিয়নের জোট সংযুক্ত কৃষাণ মোর্চা (এসকেএম) স্থানীয় সময় ভোর ৬টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত স্থায়ী এ বনধের নেতৃত্ব দেয়।
এদিন সারা দেশজুড়ে সরকারি ও বেসরকারি দপ্তর, শিক্ষা ও অন্যান্য প্রতিষ্ঠান, দোকান, শিল্প কারখানা ও অন্যান্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার ডাক দেয় এসকেএম।
তাদের ডাকা বনধকে সমর্থন করছে, কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজ পার্টি, বাম, স্বরাজ দল, এনসিপি, ডিএমকে, আরজেডি এবং তেলুগু দেশম পার্টি।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে করা এই আইনগুলোতে ভারতের কৃষি খাতকে নিয়ন্ত্রণহীন করে সরকার-নিয়ন্ত্রিত পাইকারি বাজারগুলোর বাইরে অন্যান্য ক্রেতাদের কাছে তাদের পণ্য বিক্রি করার জন্য কৃষকদের অনুমতি দেওয়া হয়। কিন্তু সরকার-নিয়ন্ত্রিত পাইকারি বাজারগুলোতে কৃষকরার তাদের উৎপাদিত পণ্যের জন্য একটি সর্বনিম্ন মূল্যের নিশ্চয়তা পেতেন।
ক্ষুদ্র কৃষকরা বলছেন, এই পরিবর্তনের ফলে তারা বৃহৎ ব্যবসায়ীদের অসম প্রতিযোগিতার মুখে পড়ে গেছেন।
অপরদিকে সরকার বলছে, এই সংস্কারের ফলে কৃষকদের সামনে নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে এবং তারা পণ্যের উপযুক্ত মূল্য পাবেন।
মতামত দিন