ভারতের কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগীর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে এবং তিনি তিহারের কারাগারে বন্দি ছিলেন
ভারতের দিল্লির একটি আদালতে আইনজীবীর পোশাক পরে আদালতের ভেতরে ঢুকে গুলি চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। এতে এক সন্ত্রাসীসহ ৩ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন।
শুক্রবার (২৪ সেপ্টেম্বর) ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম এনডিটিভির এক প্রতিবেদনে এ খবর জানানো হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির মোস্ট ওয়ান্টেড গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র ওরফে গোগি শুক্রবার উত্তর দিল্লির রোহিণীর এক আদালতের ভেতরে প্রতিপক্ষের গুলিতে নিহত হয়েছেন। সে সময় গুলিতে প্রতিপক্ষ দলেরও দুজন নিহত হন।
ভারতের কুখ্যাত এই গ্যাংস্টার জিতেন্দ্র গোগির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা আছে এবং তিনি তিহারের কারাগারে বন্দি ছিলেন। শুক্রবার তাকে আদালতে উপস্থাপন করা হলে প্রতিদ্বন্দ্বী “টিল্লু গ্যাং” হামলা চালায়। তারা আইনজীবীদের পোশাক পরা ছিল। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, ঘটনাস্থলেই গোগির মৃত্যু হয়েছে।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা এনডিটিভিকে বলেন, “প্রতিদ্বন্দ্বী গ্রুপের দুজন আদালতে গোগির ওপর হামলা চালায়। তখন পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এতে দুই হামলাকারী নিহত হয়। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এই ঘটনায় মোট তিনজন নিহত হয়েছে। এদের মধ্যে দুই হামলাকারী ও শীর্ষ সন্ত্রাসী গোগি রয়েছে।”
ললিত কুমার নামে একজন আইনজীবী বলেন, “আদালতে বিচারক, আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন এবং জিতেন্দ্র গোগিও ছিল। এর মধ্যে দুই আইনজীবী যারা আইনজীবীদের পোশাক পরে এসেছিল তারা ভেততে গুলি চালাতে শুরু করেন। এতে গোগি মারা যায়।”
এই দুই গ্যাংস্টারের মধ্যে বহু বছর ধরে বিরোধিতা ছিল বলে জানা গেছে এবং তাদের মধ্যে সংঘর্ষে উভয়পক্ষের প্রায় ২৫ জনেরও বেশি লোক মারা গেছে। গোগিকে গত বছরের মার্চ মাসে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং যা দিল্লি পুলিশের জন্য একটি বড় সাফল্য ছিল।
এ ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে দিল্লির আদালতের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। সন্ত্রাসীরা যখন আদালতে প্রবেশ করে তখন আদালতের মেটাল ডিটেক্টর কাজ করেছে কি-না। কিংবা সেসময় সশস্ত্র বাহিনীর লোকেরা কি করছিল কীভাবে অস্ত্রসহ সন্ত্রাসীরা প্রবেশ করলো এমন হাজারো প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে।
দিল্লি পুলিশের কমিশনার রাকেশ আস্থানা বলেন, “দিল্লি পুলিশ গুরুত্ব সহকারে তার কাজ করেছে। আমরা কার্যকর এবং মনোযোগী ছিলাম এবং সেই কারণেই হামলাকারীদের দ্রুত থামানো গেছে। আমরা তদন্তের পর বিস্তারিত বলব।”
মতামত দিন