মহামারির মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন ট্রুডো
করোনাভাইরাস মহামারির কারণে সংক্ষিপ্ত পরিসরে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে অবশেষে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে কানাডার পার্লামেন্ট নির্বাচনে।
সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউফাউন্ডল্যান্ড সময় সকাল সাড়ে ৮টা থেকে এ ভোটগ্রহণ শুরু হয়।
বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর লিবারেল পার্টি ও বিরোধীদলীয় কনজারভেটিভ পার্টির মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এ নির্বাচনের মাধ্যমেই গঠিত হবে কানাডার পরবর্তী সরকার।
দেশটির নির্বাচন পরিচালনাকারী সংস্থা “ইলেকশনস কানাডা”র বরাত দিয়ে আল জাজিরা জানিয়েছে, এবারের নির্বাচনে ২ কোটি ৭০ লাখের বেশি ভোটার অংশগ্রহণ করছেন।
এদিকে, ভোটগ্রহণের একদিন আগে চূড়ান্ত বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো এবং বিরোধীদলীয় নেতা এরিন ও’টুলে।
প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো মন্ট্রিয়েলে এক মিছিলে চূড়ান্ত বক্তব্যে বলেন, কানাডা এই মুহূর্তে একটি চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। দেশকে এগিয়ে নিতে তাই সঠিক রাস্তা নির্বাচন করতে হবে। তা না হলে, কনজারভেটিভরা দেশকে পিছিয়ে নিয়ে যাবে।
কনজারভেটিভ নেতা ও’টুলে অন্টারিওর মারখামে এক বক্তব্যে ট্রুডোর বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে বলেন, যখন স্বাস্থ্যখাতে জোর দেওয়া প্রয়োজন তখন তিনি ৬০ কোটি ডলারের নির্বাচন দিয়েছেন।
২০১৯ সালে দ্বিতীয়বারের মতো ক্ষমতায় আসা ট্রুডো এ বছরের আগস্টে নির্ধারিত সময়ের দুই বছর আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে ঘোষণা দেন।
সমালোচকরা বলছেন, কোভিড মোকাবিলায় সফলতাকে হাতিয়ার করে সংখ্যাগরিষ্ঠতা বাড়াতে চাইছেন ট্রুডো। যদিও, মহামারির মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করে সংক্রমণের আশঙ্কা বাড়িয়ে দেওয়ায় কঠোর সমালোচনার মুখে পড়েছেন তিনি।
মতামত দিন