এ বছরের আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে ১ হাজার ৬০০ আফগানের মধ্যে ৯৩%-ই পর্যাপ্ত খাবার পায়নি
আফগানিস্তানে মানবিক সঙ্কট মোকাবিলায় ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (প্রায় ৫ হাজার ১১০ কোটি ২১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা) বেশি অর্থ সংগ্রহের প্রচেষ্টা হিসেবে জেনেভায় একটি সহায়তা সম্মেলন আহ্বান করছে জাতিসংঘ।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ কথা জানানো হয়েছে।
এমনকি গত মাসে তালেবানদের কাবুল দখলের আগেই দেশটির জনসংখ্যার অর্ধেক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল ছিল।
জাতিসংঘের কর্মকর্তারা এবং সহায়ক গোষ্ঠীগুলো সতর্ক করে বলেছে, খরা, নগদ অর্থ ও খাদ্যের অভাবের নির্ভরশীল জনসংখ্যার সংখ্যা বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, আফগানিস্তানে পশ্চিমা সমর্থিত সরকারের পতন এবং তালেবানের ক্ষমতা দখলের পর কয়েক বিলিয়ন ডলারের বৈদেশিক অনুদান আকস্মিক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতিসংঘের কর্মসূচির ওপর আরও চাপ সৃষ্টি করেছে।
“জাতিসংঘ আর্থিকভাবে সঙ্কটে রয়েছে” মন্তব্য করে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সাংবাদিকদের বলেন, এই মুহূর্তে জাতিসংঘ নিজেদের কর্মীদের বেতনও দিতে পারছে না।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে শুরু হওয়া জেনেভা সম্মেলনে রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটির প্রধান পিটার মাউর, জার্মান পররাষ্ট্রমন্ত্রী হেইকো মাস কয়েক ডজন সরকারি প্রতিনিধিরা ও জাতিসংঘের শীর্ষ কর্মকর্তারা অংশ নেবেন।
যে ৫ হাজার ১১০ কোটি টাকা চাওয়া হয়েছে তার প্রায় এক তৃতীয়াংশ জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচিতে ব্যবহার করা হবে।
সম্প্রতি এক জরিপে দেখা গেছে, এ বছরের আগস্ট এবং সেপ্টেম্বরে জরিপকৃত ১ হাজার ৬০০ আফগানের মধ্যে ৯৩ শতাংশই পর্যাপ্ত খাবার খেতে পারেনি। এর পেছনে নগদ অর্থ হাতে না থাকাই প্রধান কারণ।
ডব্লিউএফপি’র ডেপুটি আঞ্চলিক পরিচালক অ্যান্থিয়া ওয়েব বলেন, আফগান জনগণের জীবন রক্ষাকারী সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার একটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। আমরা আক্ষরিক অর্থে ভিক্ষা করছি এবং মজুত খাবার ফুরিয়ে যাওয়া এড়াতে ঋণ নিচ্ছি।
অন্যদিকে, জাতিসংঘের আরেকটি সংস্থা, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) আফগানিস্তানে স্বাস্থ্য সুবিধা বাড়ানোর চেষ্টা করে যাচ্ছে।
মতামত দিন