লাতিন আমেরিকায় বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং কলম্বিয়া ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে বন, জলরাশি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা করতে গিয়ে গত এক বছরে ২২৭ জন মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যা পরিবেশ রক্ষায় নিয়োজিত কর্মীদের রেকর্ড মৃত্যু।
সোমবার (১৩ সেপ্টেম্বর) গ্লোবাল উইটনেসের নতুন এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
পরিবেশ ও মানবাধিকার পর্যবেক্ষক সংস্থা গ্লোবাল উইটনেস বিশ্বব্যাপী ২০২০ সালের তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করে এই প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেছে। এতে বলা হয়েছে, পরিবেশ রক্ষায় নিয়োজিতদের উপর প্রাণঘাতী হামলাও হয়েছে। প্রতি সপ্তাহে গড়ে চারজনের বেশি মানুষ পরিবেশ রক্ষা করতে গিয়েছেন।
গ্লোবাল উইটনেস বলছে, লাতিন আমেরিকায় বেশিরভাগ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে এবং কলম্বিয়া ছিল সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশ। আদিবাসীদের জমি ও বন রক্ষা কিংবা তাদের কোকা ফসল রক্ষা করতে গিয়েই প্রায় ৬৫ জন পরিবেশ রক্ষা কর্মী নিহত হয়েছেন। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে মেক্সিকো। সেখানে এক তৃতীয়াংশ বনরক্ষক অর্থাৎ ৩০ জন মারা গেছেন শুধুমাত্র বন উজাড় ঠেকাতে গিয়ে। অনেকে চোরাকারবারীদের হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন।
ফিলিপাইন এই অঞ্চলের বাইরে একমাত্র দেশ যেখানে ১৫ জনেরও বেশি মৃত্যুর রেকর্ড করা হয়েছে। গ্লোবাল উইটনেস রিপোর্ট বলছে, -খনন (মাইনিং) ও বাঁধ প্রকল্প বন্ধ করার চেষ্টা করায় সেখানে ২৯ জনকে হত্যা করা হয়েছিল।
প্রতিবেদনের অন্যতম লেখক ক্রিস ম্যাডেন সিএনএনকে বলেন, “২০২০ সালে পৃথিবী স্থির হয়ে থাকার কথা (মহামারীর কারণে) কিন্তু আমরা যে তথ্য পেয়েছি সেটি থেকে বোঝা যায় আমাদের গ্রহ তাদের জন্য (পরিবেশ রক্ষা কর্মী) নিরাপদ নয়। এটা স্পষ্ট যে জলবায়ু সংকট এবং লোভ মানুষের উপর ক্রমবর্ধমান সহিংস প্রভাব ফেলছে।”
গ্লোবাল টাইমসের তথ্যমতে, ২০২০ সালে পরিবেশ রক্ষায় যেসব মানুষ মারা গেছেন, মোট সংখ্যার অর্ধেকের বেশি মারা গেছেন ফিলিপাইন, মেক্সিকো ও কলম্বিয়ায়। সাম্প্রতিক বছরগুলোয় সবচেয়ে কম মানুষ মারা গেছেন ২০১৩ সালে ৯২ জন। জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে ব্যাপক নগরায়ণ এবং শিল্পের কারণে, অনেক দেশে সুপেয় পানির অভাব দেখা দিয়েছে।
মতামত দিন