কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে গিলবোয়া কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬ ফিলিস্তিনি বন্দীর আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করছে ইসরায়েলি বাহিনী
কঠোর নিরাপত্তা বলয় ভেঙে গিলবোয়া কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়া ৬ ফিলিস্তিনি বন্দীর আত্মীয়দের গ্রেপ্তার করছে ইসরায়েলি বাহিনী। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে ফিলিস্তিনি প্রিজনার্স ক্লাব।
শুক্রবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে উত্তর-পশ্চিম তীরবর্তী জেনিনের নিকটবর্তী আরাবা গ্রামে সন্দেহভাজন মাস্টারমাইন্ড মাহমুদ আরদাহরের দুই ভাই এবং এক বোনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রাণঘাতী হামলায় সক্রিয় ভূমিকা রাখার জন্য ১৯৯৬ সাল থেকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ভোগ করছেন জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক জিহাদের সদস্য মাহমুদ আরদাহ।
ফিলিস্তিন অ্যাডভোকেসি গ্রুপ জানিয়েছে, বুধবার গ্রেপ্তারকৃত জেল পলাতক ৬ জনের আত্মীয়দের আটক রাখা হয়েছে। তারা সবাই জেনিন এলাকার বাসিন্দা। তবে শুক্রবারের গ্রেপ্তারের বিষয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।
জননিরাপত্তা মন্ত্রী ওমর বার লেভ জানিয়েছেন, তিনি এবং প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট তদন্ত কমিশন গঠন করতে সম্মত হয়েছেন। তদন্ত কমিশনের নেতৃত্বে থাকবেন একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারক।
আরও পড়ুন- ইসরায়েলের অন্যতম নিরাপদ জেলখানা থেকে পালিয়েছেন ৬ ফিলিস্তিনি
এদিকে, ফিলিস্তিনি বন্দীদের জেল থেকে পালানোর ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পাশাপাশি এই বিব্রতকর ভুলের সংশোধনের বিষয় নিয়ে ইসরায়েলি গণমাধ্যমেও রিপোর্ট প্রকাশ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, ইসরায়েলের অন্যতম নিরাপদ জেলখানা থেকে ছয় ফিলিস্তিনি বন্দি পালিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, কয়েক মাস ধরে তারা সেল থেকে একটি সুড়ঙ্গ খুঁড়ে আসছিল। যা গিলবোয়া কারাগারের দেয়ালের বাইরে একটি রাস্তায় গিয়ে মিলেছে।
ইসরায়েলি সংবাদ সংস্থা জেরুজালেম পোস্ট জানিয়েছে, ইসরায়েল পুলিশ, শিন বেট (ইসরায়েলের নিরাপত্তা সংস্থা), সীমান্ত পুলিশ এবং ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর (আইডিএফ) সৈন্য এবং বিশেষ বাহিনী এই অভিযানে অংশ নিচ্ছে এবং পশ্চিম তীরে এবং গাজা উপত্যকায় রাস্তা অবরোধ করেছে। ইসরায়েলি পুলিশ জানিয়েছে, তাদেরকে খুঁজে বের করতে ড্রোন ও হেলিকপ্টারও ব্যবহার করা হচ্ছে।
মতামত দিন