বেশ কয়েক ধরনের জুতা পরা যাবে বলে জানানো হলেও পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে স্লিপারের বিষয়ে
পাকিস্তানের শিক্ষকদের পোশাকের বিষয়ে একটি নির্দেশনা জারি করেছে দেশটির সরকার। এতে বলা হয়েছে, নারী শিক্ষকরা জিন্স ও টাইটস এবং পুরুষ শিক্ষকরা টি-শার্ট পরতে পারবেন না।
এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে পাকিস্তানের শীর্ষ গণমাধ্যম ডন।
সোমবার জারি করা এক চিঠিতে দেশটির ফেডারেল ডিরেক্টরেট অব এডুকেশন (এফডিই) চিঠিতে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রধানকে বলা হয়, শিক্ষক এবং শিক্ষক নন এমন সব কর্মচারীই যাতে নিয়মিত চুল-দাড়ি-নখ কাটেন এবং সুগন্ধী ব্যবহার করেন তা নিশ্চিতে ব্যবস্থা নিতে।
চিঠিতে আরও বলা হয়, “প্রত্যেক কর্মী যাতে পরিপাটি থাকেন এবং ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, সে বিষয়টি প্রতিটি প্রতিষ্ঠান/সেকশনের দায়িত্বপ্রাপ্তদের নিশ্চিত করতে হবে।”
আরও পড়ুন- মসজিদে নাচের শুটিং, পাকিস্তানি অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
এর মধ্যে রয়েছে- নিয়মিত চুল-দাড়ি ও নখ কাটা; গোসল করা, সুগন্ধী ব্যবহার করা। চিঠিতে বলা হয়, গেটে দায়িত্বরত এবং পিয়নদেরকেও অবশ্যই নির্ধারিত পোশাক পরতে হবে।
পোশাকের বিষয়ে ব্যাখ্যা দিয়ে এতে আরও বলা হয়, প্রতিষ্ঠানে অবস্থানকালে প্রত্যেক কর্মী অবশ্যই ফর্মাল পোশাকে থাকতে হবে। একই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে যেকোনো অফিসিয়াল অনুষ্ঠান এবং সভার ক্ষেত্রেও।
নির্দেশনা দেওয়া হয় ল্যাবরেটরির পোশাকের বিষয়েও।
নারী কর্মীদের পোশাকের বলা হয়, “উপযুক্ত সাদামাটা এবং সুন্দর সালোয়ার কামিজ (ঐতিহ্যবাহী পোশাক), পাজামা, ওড়নাবা শালের সঙ্গে শার্ট, পর্দা মেনে চলা নারীরা স্কার্ফ বা হিজাব পরতে পারবেন তবে তা অবশ্যই পরিচ্ছন্ন থাকতে হবে। কোনো ক্ষেত্রেই জিন্স এবং টাইটস পরা যাবে না।”
বেশ কয়েক ধরনের জুতা পরা যাবে বলে জানানো হলেও পুরোপুরি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে স্লিপারের বিষয়ে।
পুরুষদের পোশাকের বিষয়ে কিছু নির্দেশনা দিয়ে বলা হয়, কোনোভাবেই জিন্স পরা যাবে না। গরমের দিনে হাফ হাতা শার্ট পরা যাবে কিন্তু কোনোভাবেই টি-শার্ট পরা যাবে না।
মতামত দিন