গত মাসে তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অনেক আফগান নারী এবং নারী অধিকার কর্মীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে শঙ্কিত
আফগান নারীদের অধিকারকে সম্মান করার যে প্রতিশ্রুতি তালেবান করেছিল তা ইতিমধ্যেই তারা উপেক্ষা করছে বলে দাবি করেছেন আফগানিস্তানে জাতিসংঘের নারী প্রতিনিধি অ্যালিসন ডেভিডিয়ান।
বুধবার (৮ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কের সাংবাদিকদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের সময় অ্যালিসন ডেভিডিয়ান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “তালেবানরা ইসলামের কাঠামোর মধ্যে নারীর অধিকারকে সম্মান করার কথা বললেও প্রতিদিন আমরা তার বিপরীত চিত্রের খবর পাচ্ছি।” ডেভিডিয়ান বলেন, “উদাহরণস্বরূপ মাহরাম বা পরিবারের পুরুষ সদস্য ছাড়া ঘর নারীদের থেকে বের হওয়া নিষেধ।”
নারী অধিকার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, “কয়েকটি প্রদেশে নারীদের কর্মক্ষেত্রে যেতেও বাধা দেওয়া হচ্ছে।”
মঙ্গলবার (৭ সেপ্টেম্বর) আফগানিস্তানের দখল নেওয়ার তিন সপ্তাহ পর অবশেষে সরকার গঠনের ঘোষণা দেয় তালেবানরা। একচেটিয়াভাবে পুরুষদের নিয়ে গঠিত সরকারের সবাই ইসলামী আন্দোলনের সদস্য।
ডেভিডিয়ান বলেন, “মঙ্গলবার তাদের সরকার গঠনের ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তালেবানরা গোটা বিশ্বকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে যে তারা সত্যিকার অর্থেই অন্তর্ভুক্তিমূলক ও সমৃদ্ধ সমাজ গঠনে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
গত মাসে মার্কিন সমর্থিত সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর তালেবানরা আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর অনেক আফগান নারী এবং নারী অধিকার কর্মীরা নিজেদের অধিকার নিয়ে শঙ্কিত।
১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবানদের প্রথম শাসনামলে আফগান নারীদের কার্যত জনসাধারণের জায়গা থেকে বিরত রেখে নারী অধিকারকে কঠোরভাবে সীমাবদ্ধ করে রেখেছিল সশস্ত্র সংগঠনটি।
মতামত দিন