কাবুলের পতনের পর থেকে পাঞ্জশির একমাত্র প্রদেশ যেটি তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে
আফগানিস্তানের পাঞ্জশির উপত্যকায় মিলিশিয়া যোদ্ধাদের সঙ্গে তালেবান বাহিনীর সংঘর্ষে কমপক্ষে সাত তালেবান সদস্যের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছেন তালেবানবিরোধী প্রধান একটি গ্রুপের দুই সদস্য।
সোমবার (৩০ আগস্ট) রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
গত ১৫ আগস্ট কাবুলের পতনের পর থেকে পাঞ্জশির একমাত্র প্রদেশ যেটি তালেবানদের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছে। তবে পাঞ্জশিরের প্রতিবেশী বাঘলান প্রদেশে তালেবান এবং স্থানীয় মিলিশিয়া বাহিনীর মধ্যেও লড়াই হয়েছে।
স্থানীয় নেতা আহমদ মাসুদের অনুগত একটি গোষ্ঠী ও জাতীয় প্রতিরোধ বাহিনীর মুখপাত্র ফাহিম দাস্তি বলেন, উপত্যকার পশ্চিম দিকের প্রবেশদ্বারে যুদ্ধ হয়, যেখানে তালেবানরা এনআরএফ ঘাঁটি লক্ষ্য করে আক্রমণ করেছিল।
তিনি বলেন, এই হামলাটি উপত্যকার প্রতিরক্ষা যাচাইয়ের জন্য হতে পারে। তবে হামলায় আট তালেবান নিহত এবং একই সংখ্যক আহত হয়েছে। অন্যদিকে, এনআরএফ বাহিনীর দুই সদস্য আহত হয়েছে।
নির্বাসিত রাষ্ট্রপতি আশরাফ ঘানির অধীনে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্য বিসমিল্লাহ মোহাম্মদী এক টুইট বার্তায় বলেন, “গত রাতে তালেবানরা পাঞ্জশির আক্রমণ করেছিল, কিন্তু সাতজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হওয়ায় পরাজিত হয়ে পিছু হটেছে।”
তবে এ বিষয়ে তালেবানের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সাবেক সোভিয়েতবিরোধী মুজাহিদিন কমান্ডার আহমদ শাহ মাসুদের ছেলে মাসুদ স্থানীয় মিলিশিয়া, সেনাবাহিনী এবং বিশেষ বাহিনী ইউনিটের অবশিষ্টাংশের সমন্বয়ে গঠিত কয়েক হাজার বাহিনী নিয়ে পাঞ্জশির উপত্যকায় প্রতিরোধ চালিয়ে যাচ্ছেন।
তিনি তালেবানদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমঝোতার আহ্বান জানালেও, সংকীর্ণ ও পার্বত্য উপত্যকায় তালেবানরা অনুপ্রবেশ কিংবা আক্রমণ করলে প্রতিরোধের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
এদিকে, মঙ্গলবার মার্কিন সেনা পুরোপুরি প্রত্যাহারের পর তালেবান সদস্যরা বিমানবন্দরের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কাবুলজুড়ে ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে উৎসব করে।
মতামত দিন