আফগানিস্তানের বিভীষিকাময় জীবন থেকে পালিয়ে বিদেশে হয়ত একটা ভালো ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে ওই শিশুটির জন্য
হাজার হাজার মানুষের ভিড়, হুড়োহুড়ি, হাহাকার, দেশ ছাড়তে মরিয়া সবাই। তালেবানরা ক্ষমতা দখলের পর কাবুল বিমানবন্দরের অবস্থা এমনই। হাজার হাজার মানুষ স্রেফ তালেবানদের তাণ্ডব থেকে বাঁচতে পাড়ি জমাচ্ছেন অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে। এই ভিড়ে রয়েছে শিশুরাও। তাদের বিষণ্ণ-বিপর্যস্ত মুখ দেখে বিশ্বজুড়ে মন খারাপ করেছে মানুষ।
বিভিন্ন সাহায্যকারী দেশ তাদের সাধ্যমতো বিপদগ্রস্ত আফগানদের আশ্রয় দিচ্ছে। তেমনই এক দেশ বেলজিয়াম। বুধবার দেশটির রাজধানী ব্রাসেলসের নিকটবর্তী একটি সামরিক বিমানবন্দর থেকে তোলা একটি ছবি মন কেড়ে নিয়েছে বিশ্ববাসীর।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের সাংবাদিক জোহানা জেরনের তোলা সেই ছবিতে দেখা গেছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে প্রাণখোলা হাসি নিয়ে বিমানবন্দরের টারম্যাকেই মনের আনন্দে লাফাচ্ছে এক আফগান শিশু। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে পালিয়ে আফগান মেয়েটির উচ্ছ্বাস সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রীতিমতো ভাইরাল।
বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী গাই ভেরোফস্ট্যাডট নিজেও ওই ছবিটি টুইটারে শেয়ার করেছেন, “ছোট্ট মেয়েটিকে বেলজিয়ামে স্বাগত।”
This is what happens when you protect refugees...
— Guy Verhofstadt (@guyverhofstadt) August 26, 2021
Welcome to Belgium, little girl !
Wonderful @Reuters picture via @POLITICOEurope pic.twitter.com/v1127frvf9
কেউ কেউ আবার বলছেন, “এটাই বছরের শ্রেষ্ঠ ছবি।”
ছোট্ট আফগান মেয়েটির এই ছবি ইন্টারনেটে বহু মানুষ শেয়ার করেছেন। তাদের বেশিরভাগই আশা করেন, আফগানিস্তানের বিভীষিকাময় জীবন থেকে পালিয়ে বেলজিয়ামে হয়ত একটা ভালো ভবিষ্যৎ অপেক্ষা করে আছে ওই শিশুটির জন্য।
দেশ ছেড়ে নতুন দেশে আশ্রয় পাওয়া মেয়েটি বা তার বাবা-মাও হয়তো জানেন না, ভবিষ্যতে তারা আর কোনওদিন আফগানিস্তানে ফিরতে পারবেন কি না৷ তবু প্রাণে বাঁচতে পারাটাই যেন এখন আফগানদের কাছে এখন সবকিছুর ঊর্ধ্বে। ছোট্ট শিশুটিও বোধ হয় সেটা বুঝতে পেরেছে। তালেবান শাসনে গত কয়েকদিনে ভয়ে কাঁটা হয়ে থাকা ছোট্ট মনটা নতুন দেশে পা দেওয়ার পর মুক্তির স্বাদ পেয়েই হয়ত আনন্দে নেচে উঠেছে।
মতামত দিন