ভ্রমণের ক্ষেত্রে নারীদের একজন পুরুষ সঙ্গীকে সঙ্গে রাখতে হবে
আফগানিস্তানে তালেবানের এক নেতা বলেছেন, তাদের দেশে সঙ্গীত নিষিদ্ধ করা হবে এবং ভ্রমণের ক্ষেত্রে নারীদের একজন পুরুষ সহকর্মীর সঙ্গে রাখতে হবে। যদিও ক্ষমতায় গিয়ে ২০ বছর আগের চেয়ে অনেক বেশি উদার হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল তালেবান।
দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তালেবানের মুখপাত্র জাবিহুল্লাহ মুজাহিদ বলেছেন, “নারীদের কর্মক্ষেত্রে ফিরে যাওয়া, ভ্রমণ, হাসপাতাল, স্কুল যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হবে তবে তার সঙ্গে একজন পুরুষ সঙ্গীর প্রয়োজন হবে এবং দেশে গান নিষিদ্ধ করা হবে।”
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক ডেইলি মেইলকে তিনি জানান, “ইসলামে সঙ্গীত নিষিদ্ধ। আমরা আশা করছি যে মানুষকে চাপ না দিয়ে তাদেরকে এই ধরনের কাজ না করতে রাজি করাব।”
যদিও এর আগে মুজাহিদ বলেছিলেন, “এই তালেবানের শাসন আগের তালেবান শাসনামলের চেয়ে ভিন্ন হবে।”
তিনি বলেন, “১৯৯৬ সালের প্রথম শাসনামলে নারীদের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপসহ অতীতে যা ঘটেছিল তা ভুলে যেতে চাই। আমরা আমাদের ভবিষ্যৎ গড়ে তুলতে চাই।”
দ্য নিউইয়র্ক টাইমসকে মুজাহিদ জানান, তালেবানরা ভবিষ্যতে নারীদের চাকরিতে ফিরতে দেবে। তবে তাদের মাথা ঢেকে রাখতে হবে। আগের ক্ষমতায় থাকাকালীন আফগান মহিলারা কেবল বোরকা পরে ঘর থেকে বের হতে পারতেন।
তিনি আরও বলেছিলেন, যাদের যথাযথ ভ্রমণের কাগজপত্র রয়েছে তারাই শুধুমাত্র দেশত্যাগ করতে পারবে। তবে প্রাক্তন দোভাষী এবং অন্যান্য যারা বছরের পর বছর ধরে মার্কিন সামরিক বাহিনীর সঙ্গে কাজ করেছে তাদের খুঁজে বের করা হবে না কিন্তু আমেরিকানদের নিজ মানুষসহ অন্যদের সরিয়ে নেওয়ার প্রচেষ্টায় হতাশ হয়েছি।
মুজাহিদ বলেন, “আমাদের দেশে তাদের হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। আমাদের মানবসম্পদ ডাক্তার, অধ্যাপক এবং অন্যান্য লোক যা আমাদের এখানে প্রয়োজন বের করা উচিত হয়নি। যুক্তরাষ্ট্রে তারা ডিশওয়াশার বা বাবুর্চি হতে পারে। এটা অমানবিক।”
মতামত দিন