ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিনের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। এছাড়া বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন সরকার
আফগানিস্তানে আটকে পড়া ইউক্রেন নাগরিকদের উদ্ধার করতে যাওয়া ইউক্রেনের একটি বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইয়ের পর বিমানটি ইরানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বরাত দিয়ে ইউক্রেন সংবাদ সংস্থা আরবিসি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিন বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনার কথা নিশ্চিত করেছেন। বিমানটিতে আফগানিস্তান থেকে উদ্ধার হওয়া ইউক্রেনের নাগরিকরা ছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তবে ইউক্রেনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন মুখপাত্র উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিনের বক্তব্যকে ভিত্তিহীন দাবি করেন। আর বিমান ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ইউক্রেন সরকার।
রুশ বার্তাসংস্থা তাস- এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, ইউক্রেনের উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভগেনি ইয়েনিন বলেছেন, “গত রবিবার আমাদের বিমানটি ছিনতাই করা হয়েছিল। আর মঙ্গলবার বিমানটি কার্যত আমাদের কাছ থেকে চুরি করা হলো। ছিনতাইয়ের পর সশস্ত্র ব্যক্তিরা বিমানটি জোর করে ইরানে নিয়ে যায়। আফগানিস্তান থেকে আমাদের নাগরিকদের পরবর্তী তিনটি উদ্ধার প্রচেষ্টাও সফল হয়নি। কারণ, আমাদের নাগরিকরা কাবুল বিমানবন্দরে পৌঁছাতে পারেননি।”
তিনি দাবি করেছেন, যারা বিমানটি ছিনতাই করেছে তারা সশস্ত্র ছিল। তবে তিনি এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি। বিমানটির কী হলো, ইরানের কাছ থেকে বিমানটি ফেরত চাইবে কি না বা কাবুল থেকে এরপর কীভাবে ইউক্রেনের নাগরিকদের দেশে ফেরানো হবে, সে বিষয়ে কিছু জানাননি তিনি।
এদিকে, ইরানের বেসামরিক বিমান সংস্থার মুখপাত্র আবাস আসলানি ছিনতাইয়ের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বিমানটি গতকাল মাশহাদ বিমানবন্দরে (উত্তরপূর্ব ইরানে) জ্বালানি ভরার জন্য আসে। জ্বালানি ভরার পর তা ইউক্রেনের উদ্দেশ্যে বিমানবন্দর ছেড়ে যায় এবং রাত ৯টা ৫০ মিনিটে কিয়েভ বিমানবন্দরে গিয়ে পৌঁছে।”
মতামত দিন