চীন তালেবানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র
চীন তালেবানের সঙ্গে সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং। তিনি বলেছেন, আফগান জনগণের স্বাধীনভাবে নিজেদের ভাগ্য নির্ধারণের অধিকারকে সম্মান জানায় চীন। তারা আফগানিস্তানের সাথে সহযোগিতামূলক ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গভীর করতে ইচ্ছুক।
আরও পড়ুন- দেশ ছাড়লেন আফগান প্রেসিডেন্ট
সোমবার (১৬ আগস্ট) চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হুয়া চুনইং সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে তালেবান-বেইজিং সম্পর্কের বিষয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
দেশজুড়ে একের পর এক প্রাদেশিক শহর দখলের পর রবিবার (১৫ আগস্ট) আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে প্রবেশ করতে শুরু করে তালেবান বিদ্রোহীরা। এরপর তাজিকিস্তানের উদ্দেশে শহর ত্যাগ করেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি। এসময় প্রেসিডেন্টের সঙ্গে তার কয়েকজন ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টা এবং শীর্ষস্থানীয় নেতাও ছিলেন।
আরও পড়ুন- সাধারণ মানুষকে হয়রানি না করতে কর্মীদের নির্দেশ তালেবানের
সেখান থেকে আশরাফ ঘানি এক ফেসবুক পোস্টে জানান, রক্তপাত এড়াতে তিনি দেশ ছেড়েছেন।
প্রসঙ্গত, আফগানিস্তানের সঙ্গে চীনের ৭৬ কিলোমিটারের সীমান্ত রয়েছে। বেইজিংয়ের আশঙ্কা, চীনের জিনজিয়াংয়ের সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিম বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় কেন্দ্র হয়ে উঠতে পারে আফগানিস্তান। কিন্তু ২৮ জুলাই চীনের তিয়ানজিনে তালেবানের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। তিনি এ সময় আশা প্রকাশ করেন, আফগানিস্তান একটি মধ্যপন্থী ইসলামিক নীতি গ্রহণ করবে।
আরও পড়ুন- কাবুল ছাড়তে মরিয়া আফগানরা, বিমানবন্দরে নিহত ৫
বৈঠকে তালেবান প্রতিনিধিরা চীনকে আশ্বস্ত করে জানান, আফগানিস্তানকে সন্ত্রাসীদের ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহার করতে দেওয়া হবেনা। এর জবাবে চীন যুদ্ধ-পরবর্তী আফগানিস্তান পুনর্গঠনে অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দেয়।
সূত্র: এএফপি
মতামত দিন