হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর চীন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করে
হংকংয়ের হাজার হাজার বাসিন্দাকে অস্থায়ী “নিরাপদ আশ্রয়” হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রে ১৮ মাস পর্যন্ত থাকতে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।
বাইডেন বলেন, “হংকংয়ের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে চীন। তাই, হংকংয়ের নাগরিকদের ১৮ মাস পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে।” তবে যারা গুরুতর অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন তারা এই সুযোগ পাবে না।
গত বছর চীন জাতীয় নিরাপত্তা আইন চালু করে। তারা মূলত হংকংয়ের গণতন্ত্রপন্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের পরিপ্রেক্ষিতে আইনটি করেছিল। তবে হংকংয়ে চীন এই আইনটি চালু করার পর যুক্তরাজ্য ওই অঞ্চল থেকে আসা বাসিন্দাদের স্থায়ী বসবাসের পথ করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিল। এ আইনে বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন, বিদ্রোহ এবং বিদেশি শক্তির সঙ্গে যোগসাজশ করাকে অপরাধ সাব্যস্ত করা হয়েছে।
বাইডেন বলেছেন, “হংকংয়ের বাসিন্দাদের যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করতে দিতে ‘পররাষ্ট্রনীতির যৌক্তিক কারণ’ রয়েছে। চীন গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ও প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষুণ্ন করেছে। একাডেমিক স্বাধীনতার ওপর সীমাবদ্ধতা আরোপ করছে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতার ওপর চাপ সৃষ্টি করছে। এছাড়া আইনটি প্রয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক ব্যক্তি ও কর্মীসহ ১০০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তার করেছে।”
এদিকে, ওয়াশিংটনে চীনা দূতাবাসের মুখপাত্র লিউ পেঙ্গু মার্কিন সরকারের পদক্ষেপের সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেন, এমন পদক্ষেপের ফলে যুক্তরাষ্ট্র চীনের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে ব্যাপক হস্তক্ষেপ করছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক হংকং ডেমোক্রেসি কাউন্সিলর স্যামুয়েল চু জানান, তাদের ধারণা যুক্তরাষ্ট্রের এমন পদক্ষেপ লাখখানেক মানুষকে প্রভাবিত করবে।
স্যামুয়েল বলেন, “এটি একটি উল্লেখযোগ্য সংখ্যা। আমি মনে করি, একটি বড় অংশের উপকৃত হওয়ার জন্য এটি একটি ভালো সুযোগ।”
উল্লেখ্য, মার্কিন সরকারের মতে, ২০২০ সালে হংকং থেকে ২৩ হাজারের মতো মানুষ যুক্তরাষ্ট্রে আসে। এছাড়া ২০১৯ সালে আসে এক লাখ ৫৫ হাজার মানুষ।
মতামত দিন