গবেষণার অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া ২০ হাজারের বেশি মানুষকে নজরদারির আওতায় আনা হয়
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে যুক্তরাজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ মানুষ সূঁচ ভয় পায় বলে টিকা নিতে চায় না। গবেষণায় উঠে এসেছে যুক্তরাজ্যের ১০ থেকে ২০ শতাংশ এবং জাপান ও ফ্রান্সের প্রায় ৫০ শতাংশ মানুষ এখনো টিকা নিতে অনিচ্ছুক। আবার নিম্ন আয়ের অনেক মানুষের কাছেই টিকাকেন্দ্রে যাওয়ার খরচ বেশি মনে হয়ে থাকে। ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানিয়েছে।
বিবিসির ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গবেষণার অংশ হিসেবে করোনাভাইরাসের টিকা নেওয়া ২০ হাজারের বেশি মানুষকে নজরদারির আওতায় আনা হয়। তাতে দেখা গেছে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নেওয়ার দুই সপ্তাহের মধ্যেই প্রায় সবার শরীরে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও ফাইজার-বায়োএনটেক টিকা নিলে রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি করানোভাইরাসের হার ৯২–৯৬ শতাংশ কমে যায়। এছাড়া টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকিও একেবারেই কম। তা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক মানুষ এখনও টিকা নিতে অনিচ্ছুক। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া এবং টিকার ট্রায়াল ঠিকমতো দেওয়া হয়েছে কি না, এ নিয়েই মানুষের উদ্বেগ বেশি।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এ সমস্যা সমাধানে টিকাদান কর্মসূচি একেবারে তৃণমূল পর্যায়ে নিয়ে যেতে হবে। স্বাস্থ্য-কর্তৃপক্ষ টিকার ব্যাপারে সহজে বোধগম্য ও সঠিক তথ্য প্রচার করতে পারে। টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি যে একেবারেই কম, তা নিয়ে ব্যাপক প্রচারণা চালানো যেতে পারে। মানুষকে সচেতন করার জন্য তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা যেতে পারে। টিকা উৎপাদনের ইতিহাস মানুষকে বেশি বেশি করে জানাতে হবে। যেমন: মানুষকে জানাতে হবে, এমআরএনএ ভ্যাকসিন কয়েক দশকের গবেষণার ফল। এর কার্যকারিতাও অনেক পরীক্ষা-নিরীক্ষায় প্রমাণিত।
মতামত দিন