দুর্নীতির সাথে জড়িত কাউকে ক্ষমা করা হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জার্মানির স্বাস্থ্যমন্ত্রী
জার্মানিতে বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিয়ে দুর্নীতি ও বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ এসেছে। তবে এসকল অভিযোগ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখার চেষ্টা করছেন দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী ইয়েন স্পান।
অভিযোগ এড়াতে স্পান ঘোষণা করেছেন, জার্মানি জুড়ে করোনভাইরাস পরীক্ষাকেন্দ্র ও পরীক্ষার প্রতিবেদনগুলো আরও কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করবেন তিনি।
গত সপ্তাহে দেশটির মেডিক্যান নামক একটি কোভিড পরীক্ষা সংস্থা দেশটির শত শত কোভিড টেস্টের জন্য সরকারের কাছ থেকে আর্থিক ঋণ প্রদানের দাবি জারি করলে প্রথম দুর্নীতি অভিযোগ সামনে আসে। জার্মান সরকার প্রতি সপ্তাহে কমপক্ষে একবার বিনামূল্যে কোভিড পরীক্ষার সুযোগ করে দিয়ে জনপ্রতি ১৮ ইউরো ভর্তুকি প্রদান করলেও এই সুযোগের অপব্যবহার করে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলো হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল সংখ্যক অর্থ।
এমনকি দেশটির কোলন শহরের একটি কোভিড পরীক্ষা কেন্দ্রে মাত্র ৭০ জনের কোভিড পরীক্ষা করা হলেও, তারা সরকারের কাছে ১ হাজার জনের পরীক্ষা করানোর কথা বলে অর্থ আত্মসাৎ করে। এছাড়া দ্রুত ফলাফল জানানোর জন্য পরীক্ষাগুলো সঠিকভাবে করা হচ্ছে কিনা তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।
ইতোমধ্যে এ বিষয়ে সোমবার (৩১ মে) জার্মানির ১৬ টি রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সাথে পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করার জন্য সাক্ষাৎ করেছেন ইয়েন স্পান। বর্তমানে জার্মানির পাঁচটি রাজ্য অর্থ আত্মসাতের বিষয়ে তদন্তও শুরু করেছে।
রবিবার (৩০ মে) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম এআরডিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে স্পান বলেন, তিনি "বিশেষ বেসরকারি পরিসেবা সরবরাহকারীদের" ওপর আরও কঠোর নিয়ন্ত্রণ নিচ্ছেন।
তবে আগের মতো স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে দোষ না দিয়ে কোভিড পরীক্ষা করে এমন সংস্থাগুলোর উপর দোষ দিচ্ছেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, বার্লিন থেকে সমস্ত কোভিড পরীক্ষাকেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করা তার পক্ষে সম্ভব নয় তাই স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে আরও দায়িত্ব নিতে হবে।
দুর্নীতির সাথে জড়িত কাউকে ক্ষমা করা হবেনা বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
মতামত দিন