চীনের বক্তব্য, মিয়ানমার তাদের বহুদিনের বন্ধুরাষ্ট্র তাই সেখানে স্থিতাবস্থা ফেরাতে সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা
মিয়ানমার পরিস্থিতির সমাধানে আলোচনার হাত বাড়িয়েছে চীন। উত্তপ্ত মিয়ানমারে রবিবারও (৭ মার্চ) দেশজুড়ে একাধিক বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করেছিলো আন্দোলনকারীরা।
বেশ কিছু জায়গায় রবার বুলেট ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়েছে পুলিশ। দেশটির পুরনো রাজধানী বাগানে পুলিশ গুলি চালিয়েছে বলেও অভিযোগ। ঘটনাস্থল থেকে কার্তুজের খোল পাওয়া গিয়েছে বলে একাধিক মানবাধিকার সংগঠনের দাবি।
এর আগে, শনিবার রাতে বেশ কিছু জায়গায় পুলিশ ও সেনা রেড করেছিল। তারপরেই রবিবার সারাদেশে বিশাল সমাবেশের ডাক দেওয়া হয়। অন্যদিকে, চীন মিয়ানমারে সবপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করতে চায় বলে জানিয়েছে। চীনের বক্তব্য, দ্রুত এই পরিস্থিতির অবসান দরকার।
গত সপ্তাহে অং সান সু চি-র দলের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। আহত অবস্থায় তিনি ভর্তি ছিলেন সেনা হাসপাতালে। শনিবার তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেশে। বলা হয়, পুলিশের অত্যাচারেই মৃত্যু হয়েছে ৫৮ বছরের ওই ব্যক্তির। তারপরেই দিকেদিকে বিক্ষোভের ডাক দেওয়া হয়।
তারই মধ্যে শনিবার রাতে পুলিশ বিভিন্ন জায়গায় রেড করে। মূলত সু চি-র দলের বিভিন্ন কর্মীর বাড়িতে রেড চালানো হয়। বিক্ষোভকারীরা তাতে আরো খেপে গিয়ে পুলিশের গুলি, কাঁদানে গ্যাস, রবার বুলেট উপেক্ষা করে রবিবার দিনভর তারা বিক্ষোভ দেখিয়েছে।
মিয়ানমারের পরিস্থিতি নিয়ে এই প্রথম মুখ খুলল চীন। রবিবারের ঘটনার পরে চীনের এক উচ্চপদস্থ কূটনীতিক জানিয়েছেন, চীন নিঃশর্তে মিয়ানমারে আলোচনা চালাতে চায়। কোনো পক্ষ অবলম্বন না করে দেশের বিভিন্ন দল ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করতে চায় চীন। এই পরিস্থিতির দ্রুত সমাধান হওয়া প্রয়োজন বলেও জানিয়েছে চীন।
সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে প্রচার হয়, মিয়ানমারের সেনা চীনের সাহায্য নিয়ে গণতান্ত্রিক সরকারকে সরিয়ে দিয়েছে। তবে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অস্বীকার করে চীনের বক্তব্য, মিয়ানমার তাদের বহুদিনের বন্ধুরাষ্ট্র। সেখানে যাতে স্থিতাবস্থা ফিরে আসে, তার জন্য সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত তারা।
মতামত দিন