রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটিত বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়, এতে ১৮ জন নিহত হন
একমাস আগে হওয়া অভ্যুত্থান পরবর্তী সময়ে সবচেয়ে ভয়াবহ সহিংসতায় কমপক্ষে ১৮ জন নিহত হওয়ার একদিন পরেই সেনা বাহিনীর অভিযানকে আবারও অস্বীকার করেছে মিয়ানমারের বিক্ষোকারীরা।
সোমবার (১ মার্চ) আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার আহ্বান জানিয়ে পুনরায় মিছিল-সমাবেশ করেছে তারা।
এর আগে রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) দেশটিত বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সংঘর্ষ হয়। এতে ১৮ জন নিহত হন।
সোমবার ইয়াঙ্গুনে বিক্ষোভের প্রধান স্থানগুলোতে বিক্ষোভকারীরা অং সান সু চির ছবি নিয়ে "গণতন্ত্র, আমাদের দাবি, আমাদের দাবি" স্লোগান দিচ্ছিলেন। এ সময় জলকামান এবং সামরিক যানসহ পুলিশ সেখানে সমাবেত হয়।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রকাশিত একটি লাইভ ভিডিও থেকে দেখা যায় ল্যাসিও'র শান স্টেটের একটি রাস্তায় জড়ো হওয়া ভীড়ের শ্লোগানের দিকে পুলিশ এগিয়ে যাচ্ছে।
মিয়ানমারের অন্যতম প্রতিবাদী নেতা আই থিনজার মাং ফেসবুকে লিখেছেন, "অভ্যুত্থানের এক মাস হয়ে গেছে। তারা গতকাল গুলি চালিয়ে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। আমরা আজ আবারও বের হবো।"
গত বছরের নভেম্বরে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জয়ী সু চি এবং তার ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্রেসি (এনএলডি) দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নির্বাচনে জালিয়াতের অভিযোগ এনে ২ ফেব্রুয়ারি সেনাবাহিনীর ক্ষমতা দখলের পর থেকেই মিয়ানমারে বিশৃঙ্খলা ছড়িয়ে পড়েছে। এ সময় সু চিকে আটক করা হয়।
আটকের পর থেকে জনসমক্ষে দেখা না গেলেও সোমবার (১ মার্চ) আদালতে সু চির শুনানি হবে বলে জাননো হয়েছে।
প্রায় ৫০ বছরের সামরিক শাসনের পরে আসা গণতন্ত্রকে পুনরায় থামিয়ে দেওয়া এই অভ্যুত্থান হাজার হাজার বিক্ষোভকারীকে রাস্তায় এনে নামিয়েছে যার নিন্দা পশ্চিমা বিশ্বও করছে।
এদিকে সেনাবাহিনীর এই সহিংসতাকে যুক্তরাষ্ট্রের সেক্রেটারি অফ স্টেট অ্যান্টনি ব্লিংকেন সুরক্ষা বাহিনীর কর্মকাণ্ডকে "ঘৃণ্য সহিংসতা" বলে অভিহিত করেছেন।
কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্ক গার্নাউ সামরিক বাহিনীকে "ভীতু" সম্বোধন করে বলেছেন তারা নিজের লোকদের বিরুদ্ধে মারাত্মক শক্তি প্রয়োগ করেছে।
যদিও রবিবারের সহিংসতার বিষয়ে সামরিক বাহিনী কোনও মন্তব্য করেনি এবং পুলিশ ও সামরিক মুখপাত্ররা কোনো ফোনকলের উত্তর দেননি।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিনকেন রবিবার এক টুইটে মিয়ানমারের জনগণের সাথে যুক্তরাষ্ট্র দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে বলেন, "(আমরা) অন্যান্য দেশের সমর্থন আশা করছি।"
মতামত দিন