এর আগে ‘স্থিতিশীলতা’ নিশ্চিতের কথা উল্লেখ করে ফেসবুকও বন্ধ করে দেওয়া হয় দেশটিতে
মিয়ানমারে সাম্প্রতিক সেনা অভ্যুত্থানের পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞার অংশ হিসেবে এবং দেশব্যাপী প্রতিবাদ ঠেকাতে ফেসবুকের পর এবার টুইটার এবং ইনস্টাগ্রামও বন্ধ করে দিয়েছে দেশটির ক্ষমতা নেয়া সামরিক জান্তা। ফেসবুক এবং এ সম্পর্কিত অন্যান্য অ্যাপ্লিকেশনগুলো ছাড়াও দেশটির সামরিক সরকার শুক্রবার কমিউনিকেশন অপারেটর এবং ইন্টারনেট পরিষেবা সরবরাহকারীদের টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ রাখার নির্দেশ দেয়।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, কিছু মানুষ ‘ফেক নিউজ’ ছড়িয়ে দেয়ার জন্য এই প্ল্যাটফর্ম দুটি ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাত ১০টা থেকে মিয়ানমারে টুইটার পরিষেবা বন্ধ হয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সমস্যা পর্যবেক্ষণকারী সাইট নেটব্লকস। এর আগেই বন্ধ করা হয় ইনস্টাগ্রামও।
এক বিবৃতিতে, মিয়ানমারে ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করার আদেশের বিষয়ে ‘গভীর উদ্বেগ’ এবং ‘সরকার-নেতৃত্বাধীন ধ্বংসাত্মক পদক্ষেপ বন্ধের বিরোধিতা করার’ প্রতিশ্রুতি দিয়েছে টুইটার কর্তৃপক্ষ।
এর আগে ‘স্থিতিশীলতা’ নিশ্চিতের কথা উল্লেখ করে ফেসবুক বন্ধ করে দেয় মিয়ানমারের সামরিক জান্তা।
ফেসবুক বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অভ্যুত্থান বিরোধিতা বা প্রতিবাদ জানাতে টুইটার ও ইনস্টাগ্রামের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোকে বেছে নেন অনেক ব্যবহারকারী।
এসব সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলো ব্যবহার করে প্রতিবাদ, বিক্ষোভ যেন ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করার জন্য কর্তৃপক্ষ এগুলো বন্ধ করার পদক্ষেপ নিয়ে থাকতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জাতিসংঘ আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ঐক্যবদ্ধ করতে এবং মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থান ব্যর্থ করে দেয়ার জন্য পরিস্থিতি তৈরি করতে যথাসাধ্য চেষ্টা করবে বলে শুক্রবার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন সংস্থাটির মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
এক সংবাদ সম্মেলনে জাতিসংঘ প্রধান বলেন, মিয়ানমারে গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনা, দেশটির সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনের ফলাফলের প্রতি শ্রদ্ধা এবং সেনাবাহিনীর হাতে আটক সকল বন্দীদের মুক্তি দিতে নিরাপত্তা পরিষদ যে আহ্বান জানিয়েছে তা ‘একেবারে অপরিহার্য’।
নির্বাচনের বিপরীতে মিয়ানমারের এ ঘটনা (সামরিক অভ্যুত্থান) ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে, দেশটিতে সাংবিধানিক ক্ষমতা পুনর্বহাল করার আহ্বান জানান জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস।
মতামত দিন